—প্রতীকী ছবি
বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শুরু হওয়ার আগেই চলছে নাটক। অস্ট্রেলীয় ওপেনে খেলতে দু’টি চার্টার্ড বিমানে মেলবোর্নে পৌঁছেছিলেন তাঁরা। দেখা গেল বিমানের তিন জন করোনায় আক্রান্ত। সঙ্গে সঙ্গে বিমানে আসা ৪৭ জন খেলোয়াড়কে দু’সপ্তাহের জন্য হোটেলে নিভৃতবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হল। টুর্নামেন্টের সংগঠকরাই শনিবার এ খবর দিয়েছেন।
আক্রান্ত বিমানযাত্রীদের মধ্যে কেউ যদিও খেলোয়াড় নন। একটি বিমান ২৪ জনকে নিয়ে এসেছিল লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে। সেই বিমানের এক জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। সঙ্গে কোনও একজন খেলোয়াড়ের দলের সদস্য। পরে আবু ধাবি থেকে আসা অন্য একটি বিমানের আর একজনের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এই ব্যক্তিও খেলোয়াড় নন। দ্বিতীয় বিমানে ২৩ জন যাত্রী ছিলেন।
খেলোয়াড়দের জন্য খারাপ খবর হচ্ছে, আগামী ১৪ দিন তাঁরা হোটেল থেকে বেরোতে পারবেন না। এমনকি তাঁরা অনুশীলনও করতে পারবেন না। এটা নিয়ে বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে। বলা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের অনেকেই অস্ট্রেলীয় ওপেনে খেলবেন অনেক কম প্রস্তুতি নিয়ে। যাা নিয়ে সরব উরুগুয়ের পাবলো কোয়েবাস। টুইটারে লিখেছেন, হোটেলের ঘরে বন্দি অবস্থায় কী ভাবে তিনি অনুশীলন করবেন, তা আগামী দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে দেখাবেন। অস্ট্রেলিয়ার সরকার খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, কর্মচারী মিলিয়ে ১,২০০ জনকে গ্র্যান্ড স্ল্যামে থাকার অনুমতি দিয়েছে। মোট ১৫টি বিমানে তাঁদের মেলবোর্নে পৌঁছনোর কথা। কোয়েবাস ছাড়াও কোভিড আক্রান্তদের নিয়ে আসা বিমানে ছিলেন মেক্সিকোর খেলোয়াড় সান্তিয়াগো গঞ্জালেস। বিমানে টেনিস স্যান্ডগ্র্যান ও ভিক্টোরিয়া আজ়ারেঙ্কা ছিলেন বলে খবর। উদ্বেগের ব্যাপার হচ্ছে, নতুন ধরনের করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন স্যান্ডগ্র্যান। তবে এখন সুস্থ।