সমর্থন: হেডিংলেতে ফিল্ডিং করতে নামার পথে ঋষভ। গেিট ইমেজেস
সুইং সামলানোর জন্য পপিং ক্রিজ়ের বাইরে দাঁড়িয়ে ব্যাট করছিলেন ঋষভ পন্থ। অনেক ব্যাটসম্যানই এই পথ বেছে নেন সুইংয়ের মোকাবিলা করার জন্য। কিন্তু আম্পায়ার তাঁকে ক্রিজ়ের ভিতরে দাঁড়িয়েই ব্যাট করার নির্দেশ দেন। কারণ, পিচের ‘ডেঞ্জার জ়োনে’ ঢুকে পড়ছিলেন পন্থ। তাঁর জুতোর স্পাইকে তৈরি হচ্ছিল ক্ষত।
বাধ্য হয়ে স্টান্স পরিবর্তন করেন পন্থ। তাতেই বাড়ে বিপদ। অলি রবিনসনের সুইং বুঝতে না পেরে ব্যাট বাড়িয়ে দেন। ব্যাটের কোণে বল লেগে চলে যায় জস বাটলারের হাতে। হেডিংলে টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে পন্থ বলেছেন, ‘‘ক্রিজ়ের বাইরে দাঁড়িয়ে ব্যাট করছিলাম, তাই আমার সামনের পা ডেঞ্জার জ়োনে বেরিয়ে আসছিল। আম্পায়ার নিষেধ করেছিলেন ক্রিজ়ের বাইরে দাঁড়িয়ে ব্যাট করতে।’’ যোগ করেন, ‘‘আমাকে বাধ্য হয়েই তাই স্টান্স পরিবর্তন করতে হয়েছে। তবে ক্রিকেটার হিসেবে এ বিষয়ে বেশি ভাবলে চলবে না। অনেকেই কিন্তু ক্রিজ়ের বাইরে দাঁড়িয়ে ব্যাট করে। তাদের অনেককেই আবার আম্পায়ার নিষেধ করেন।’’
হেডিংলেতে প্রথম দিন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি। মাত্র ৭৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। সকালের দিকে পিচ থেকে বোলারেরা সাহায্য পেতে পারেন জেনেও কেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন বিরাট? পন্থকে এই প্রশ্ন করায় তাঁর উত্তর, ‘‘ক্রিকেটে এ রকম হতেই থাকে। প্রত্যেক দিন আমাদের ব্যাটসম্যানেরা একশো শতাংশ উজাড় করে দিচ্ছে। একটা দিন খারাপ যেতেই পারে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সকালের দিকে পিচ কিছুটা নরম ছিল। ওরাও ভাল জায়গায় বল করে গিয়েছে। আমাদের খেলার ধরন ঠিক ছিল না। তবে এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাব। ক্রিকেটার হিসেবে এটাই করতে পারি আমরা।’’
টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত যে অধিনায়কের একার নয়, তাও ফাঁস করলেন পন্থ, ‘‘দল হিসেবেই প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক বার যখন ঠিক করা হয়েছিল টস জিতে ব্যাট করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার কোনও মানে হয় না। এটাও ঠিক, আরও ভাবনা-চিন্তা করে শট খেলা উচিত ছিল। কিন্তু যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।’’
শেষ কয়েকটি ম্যাচেই দেখা গিয়েছে মাঝের সারির ব্যাটসম্যানেরা ব্যর্থ হওয়ায় দ্রুত ব্যাট করতে নামতে হচ্ছে পন্থকে। তাতে কি তাঁর চাপ বাড়ছে? পন্থ অবশ্য বললেন, ‘‘উপরের সারির ব্যাটসম্যানেরা ব্যর্থ হলে আমাকে দ্রুত নামতে হচ্ছে ঠিকই। তবে এটাকে আমি বড় একটা সুযোগ হিসেবেই দেখি। মনে রাখবেন এ রকম পরিস্থিতি থেকে দলকে বার করে আনতে পারলে, আমাকে নিয়েই কিন্তু আলোচনা হবে।’’ যোগ করেন, ‘‘কখনওই চাপ নিয়ে ভাবি না। জানি, দেশের হয়ে খেলছি মানে নিজের সেরাটা দিতেই হবে। আর প্রত্যেকেই চায় ভাল কিছু করতে।’’ এখানেই না থেমে পন্থ বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটার হিসেবে দু’টি বিষয় নিয়ে অনেকেই চিন্তা করে। দল আগে না ব্যক্তি। ভারতীয় দলে কেউই ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা ভেবে খেলে না। দলের জন্যই প্রত্যেকে চিন্তা করে। এই সংস্কৃতিটাই তৈরি করা হয়েছে ড্রেসিংরুমে।’’