এরিকসেনকে ঘিরে দেওয়াল তৈরি করে দিয়েছেন ডেনমার্কের ফুটবলাররা। ছবি: টুইটার থেকে
ম্যাচের তখন ৪২ মিনিট বয়স। থ্রো থেকে আসা বল ধরার জন্য এগিয়ে যাচ্ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। হঠাৎই মুখ থুবড়ে পড়ে গেলেন তিনি। কয়েক মুহূর্তের জন্য কেউ বুঝতেই পারছিলেন না কেন পড়ে গেলেন এরিকসেন। কিন্তু তাঁকে উঠতে না দেখে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের মাঠে ঢোকার জন্য সঙ্কেত দেন রেফারি।
চিকিৎসকরা মাঠে ঢুকে এরিকিসেনকে সিপিআর দিতে শুরু করেন। ততক্ষনে তাঁদের ঘিরে দেওয়াল তৈরি করে দিয়েছেন ডেনমার্কের ফুটবলাররা। চিকিৎসার সেই দৃশ্য ক্যামেরাও ধরেনি স্বাভাবিক নিয়মেই। মাঠের দর্শকদের মধ্যেও আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে। কী ঘটছে বুঝতে না পারলেও আতঙ্ক তাঁদের চোখে মুখে স্পষ্ট। কেউ কাঁদছেন, কেউ মুখ ঢেকে রেখেছেন, কেউ অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন। ডেনমার্কের ফুটবলারদের চোখে মুখেও আতঙ্ক। কাঁদছেন কেউ কেউ। মাঠে উপস্থিত সকলের মধ্যেই উৎকণ্ঠা।
প্রায় ১০ মিনিট চিকিৎসা চলার পর স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে আসার প্রস্তুতি শুরু হয়। তত ক্ষণে ফিনল্যান্ডের ফুটবলাররা মাঠ ছাড়তে শুরু করেছেন। এরিকসেনকে ঘিরেই মাঠ ছাড়েন ডেনমার্কের ফুটবলাররা। সেই মুহূর্তে ক্যামেরায় ধরা পড়ে চোখ মেলেছেন তিনি। কিছুটা স্বস্তি ফেরে বিশ্ব ফুটবলে। উয়েফা জানায় এরিকসেনের অবস্থা স্থিতিশীল।