গোলদাতা গোসেন্সের সঙ্গে উল্লাস মুলারের। ছবি রয়টার্স
প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে পর্তুগালের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়াল জার্মানি। গত বারের ইউরো কাপ বিজয়ীদের ৪-২ ব্যবধানে উড়িয়ে দিলেন থোমাস মুলাররা। সেই সঙ্গে শেষ ষোলর লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনলেন নিজেদের।
প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে হেরে যাওয়ায় শনিবার ছিল জার্মানির নিজেদের জাত চেনানোর ম্যাচ। ড্র করলে বা হারলে শেষ ষোলোয় ওঠা কঠিন হয়ে যেত। তাই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে গিয়েছে তারা। বিশ্বকাপ এবং ইউরো কাপ মিলিয়ে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার চার গোল খেল পর্তুগাল। দু’বারই জার্মানির বিরুদ্ধে।
ম্যাচের শুরু দেখে একবারও মনে হয়নি শেষটা এরকম হতে চলেছে। আগের ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি জার্মানি। শনিবার শুরু থেকেই তারা বেশি ক্ষিপ্র ছিল। শুরুতেই রবিন গোসেন্স বল বিপক্ষের জালে জড়িয়ে দেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। পর্তুগাল হাল ছাড়েনি। এর কিছুক্ষণ পরেই তারা যে প্রতি আক্রমণে গোল করে এগিয়ে গেল, তা হয়তো যে কোনও ফুটবলপ্রেমীর চোখে বহুদিন লেগে থাকবে।
এই প্রতি আক্রমণের কেন্দ্রভাগে ছিলেন একজনই। তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। জার্মানির কর্নারের সময় তিনি নিজেদের বক্সে ছিলেন। বল ক্লিয়ার হওয়ার পর স্প্রিন্ট টানতে শুরু করেন। অবশেষে বার্নার্ডো সিলভার পাস থেকে বল জালে জড়ান। ইউরো কাপে ১২ গোল হল রোনাল্ডোর। এ বারের প্রতিযোগিতায় তিনটি। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপ এবং ইউরো কাপ মিলিয়ে ১৯ গোল হল রোনাল্ডোর। জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোজের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে শীর্ষে।
জার্মানি ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি। আক্রমণে চাপ বজায় রেখেছিল। সেই চাপ সামলাতে না পেরেই আত্মঘাতী গোল করে বসেন রুবেন ডায়াস। তার দু’মিনিট পরে ফের আত্মঘাতী গোল। এবার দায়ী রাফায়েল গুরেরো। ইউরো কাপের একই ম্যাচে একই দলের দুটি আত্মঘাতী গোল হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। জার্মানি ইউরো কাপের প্রথম দল, যারা আত্মঘাতী গোলে সমতা ফেরাল এবং এগিয়েও গেল। এরকম ঘটনা আগে ঘটেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে জার্মানি যেন আরও ভয়ঙ্কর। শুরুতেই গোল করে ৩-১ করে দেন কাই হাভাৎস। ৬০ মিনিটে দলের চতুর্থ গোল গোসেন্সের। পর্তুগালের হয়ে দিয়োগো জোটা এক গোল শোধ করেন।