RFYC U15

ম্যান ইউকে হারিয়ে খুদেদের চমক, চ্যাম্পিয়ন চেলসি

শুক্রবার বিকেলে এই কৃত্রিম ঘাসের মাঠেই অনূর্ধ্ব-১৪ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ হারিয়ে দিল রিল্যায়্যান্স ফাউন্ডেশন ইয়ং চ্যাম্পসের (আরএফওয়াইসি) অনূর্ধ্ব-১৫ দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:২২
Share:

স্বপ্ন: ম্যান ইউ বনাম আরএফওয়াইসি অনূর্ধ্ব-১৫ দলের ম্যাচ। শুক্রবার মুম্বইয়ে। নিজস্ব চিত্র

কর্মব্যস্ত নবি মুম্বইয়ে রিল্যায়্যান্স কর্পোরেট পার্কে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে আশ্চর্যজনক ভাবে চারপাশের ছবিটা বদলে যাবে।

Advertisement

দু’দিকে পাহাড়। মাঝখানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে একাধিক অফিস, হাজার দশেক দর্শকাসনের ক্রিকেট স্টেডিয়াম, টেনিস কোর্ট, বাস্কেটবল কোর্ট, সুইমিং পুল। একটু এগোলেই দেখা যাবে ক্রিকেট অনুশীলনের জন্য আলাদা মাঠ। তার ঠিক পাশেই দু’টি ফুটবলের মাঠ। যার মধ্যে একটি কৃত্রিম ঘাসের। তার পরেই হেলিপ্যাড।

এখানেই চমকের শেষ নয়। শুক্রবার বিকেলে এই কৃত্রিম ঘাসের মাঠেই অনূর্ধ্ব-১৪ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ হারিয়ে দিল রিল্যায়্যান্স ফাউন্ডেশন ইয়ং চ্যাম্পসের (আরএফওয়াইসি) অনূর্ধ্ব-১৫ দল। ছ’টি দলকে নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ-আইএসএল নেক্সট জেনারেশন মুম্বই কাপ ২০২০ শুরু হয়েছিল ২৪ ফেব্রুয়ারি। অংশ নেয় ম্যান ইউ, চেলসি, সাউদাম্পটন, বেঙ্গালুরু এফসি, এফসি গোয়া ও আরএফওয়াইসি। ইপিএলের তিনটি দল অবশ্য অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবলারদের নিয়ে গড়া। ভারতীয় ক্লাবগুলোর অনূর্ধ্ব-১৫ দল অংশ নিয়েছে। টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতে চেলসির অনূর্ধ্ব-১৪ দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেও শুক্রবার আরএফওয়াইসি বনাম ম্যান ইউ ম্যাচকে কেন্দ্র করে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে।

Advertisement

ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য ছিল ভারতের খুদে ফুটবলারদের। এদের মধ্যে আবার পাঁচ জন বাঙালি। ম্যাচের ২৩ মিনিটে ম্যান ইউয়ের বিরুদ্ধে একমাত্র গোল কেরলের রশিদ সি কের।

আরএফওয়াইসি-র খুদে ফুটবলারদের উত্থানের নেপথ্যে রয়েছে আকর্ষণীয় কাহিনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলারদের খুঁজে আনেন নির্বাচকেরা। অনূর্ধ্ব-১২, ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৭ বিভাগের ফুটবলারদের গড়ে তুলতে ২২ জনের দল রয়েছে। জোসে রামিরেজ ব্যারেটো, আরাতা ইজুমি-সহ দশ জন কোচ অনুশীলন করান। আছেন মনোবিদ, ক্রীড়াবিজ্ঞানী। ফুটবলের সঙ্গে চলে লেখাপড়াও।

ভারতের খুদে ফুটবলারদের খেলায় অভিভূত ম্যান ইউ, চেলসি ও সাউদাম্পটনের কোচেরাও। শুক্রবার সকালে ম্যান ইউয়ের কোচ কার্ল ব্রাউন বলছিলেন, ‘‘সাফল্যের পিছনে না ছুটে আমাদের উচিত পরিকল্পিত ভাবে ফুটবলার গড়ার। এখানে সেটাই হচ্ছে।’’ চেলসির কোচ ইয়ান হাওয়েলের কথায়, ‘‘অসাধারণ পরিকাঠামো। ভারতীয় ফুটবলারেরা দারুণ প্রতিশ্রুতিমান। আমাদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিল। ওদের ঠিক ভাবে গড়ে তুলতে হবে।’’ সাউদাম্পটনের কোচ ড্যানি মে বললেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবলারদের দেখে মুগ্ধ। ওদের একটাই সমস্যা, বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সের সামনে ছন্দ

হারিয়ে ফেলছে।’’

অ্যাকাডেমির দুই কোচ ব্যারেটো ও আরাতা অবশ্য ধীর ধীরে এগোতে চান। ব্যারেটো বলছিলেন, ‘‘ব্রাজিলের অ্যাকাডেমিতে আমি ভর্তি হয়েছিলাম পনেরো বছর বয়সে। ফলে ফুটবলের প্রাথমিক শিক্ষার অনেকটাই ঠিক মতো পাইনি। এখানে অনেক আগে থেকে তা শেখার সুযোগ পাচ্ছে ছেলেরা।’’ আরাতার কথায়, ‘‘ফুটবলের পাশাপাশি, সকলকে মানসিক ভাবে শক্তিশালী করে তোলাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement