ফাইনালের আগের দিন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক।
রবিবার যুব বিশ্বকাপে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে নিশ্চই ইতিহাসের আনাগোনা চলছে। ভারতীয় শিবিরেও ঢুকে গিয়েছে কপিল দেবের ভারতীয় দলের ইতিহাস। হয়তো দলের মেন্টর রাহুল দ্রাবিরের চোখ দিয়ে ইশান, ঋষভরা দেখে নিয়েছে ভারতের সাফল্যের সেই কাহিনী। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ মনে আছে নিশ্চই সবার। ২৫ জুন লর্ডসের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়। এর পর আর বিশ্বকাপ জেতা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ফাইনালেও ওঠা হয়নি।
টি২০ বিশ্বকাপে ২০১২তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ? না সেখানেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি। আবার সেই বিশ্বকাপ, আবার মুখোমুখি ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও অনূর্ধ্ব-১৯। তবুও বিশ্বকাপ তো। এই বিশ্বকাপ ফাইনালকে ঘিরেও উত্তেজনা কিছু কম নয়। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ যাঁদের হাতে। সেই একদল যুবকের দিকেই তাকিয়ে পুরো দেশ। কয়েকদিন পরেই দাদারা নামবে টি২০ বিশ্বকাপের আসরে। তার আগে ভাইদের সাফল্য তাতিয়ে দিতে পারে ধোনি ব্রিগেডকে।
পুরো টুর্নামেন্টে ভারতের সামনে দাঁড়াতে পারেনি কোনও দল। ফাইনালেও নিজেদের সেরাটাই দিতে চাইছে পুরো দল। ধারাবাহিকতার দিক থেকে দেখতে গেলে ভারতের মিডল অর্ডার নিয়মিত ভরসা দিচ্ছে দলকে। সেমিফাইনালেই তা আবার প্রমাণ হয়েছে। ভারতীয় ব্যাটিংকে ভরসা দিচ্ছেন সরফরাজ খান, ঋষভ পন্থ, আরমান জাফররা। ফাইনালেও এরাই বড় ভরসা। রিকি ভুঁইকে বসিয়ে আনমোলপ্রীতকে দলে নেওয়াটাও কাজে লেগেছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ভরসা দিচ্ছেন আনমোল।
ভারতীয় বোলিং অ্যাটাককে ভরসা দিচ্ছেন মায়াঙ্ক দাগার, আবেশ খান ও মাহিপাল লোমোর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংকে আটকাতে যথেষ্ট এই তিন মূর্তি। মিরপুরের পিচে বাউন্স থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্লো হয়ে যায়। প্রথমে ব্যাট করলে বড় রানের সম্ভবনা থাকছে। ভারত অধিনায়ক ইশান কিষান বলেন, ‘‘আমি আর ঋষভ যদি ১২ ওভার পর্যন্ত টিকে যাই তাহলে ৩০০ রান তোলা সম্ভব। আমাদের পোকাস থাকবে শুরুটা ভাল করার দিকে। তবে ২৭০-২৮০ এই পিচে ভাল রান। আমরা আত্মবিশ্বাসী। সবাই নিজের খেলাটাই খেলবে। কারও উপর কোনও চাপ নেই।’’
আরও খবর
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপে তৃতীয় বাংলাদেশ