Mahendra Singh Dhoni

Mahendra Singh Dhoni: ধোনির অ্যাকাউন্ট থেকে ‘ব্লু টিক’ কেড়ে নিয়েও ফিরিয়ে দিল টুইটার

ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে থাকলেও ধোনি সচরাচর পোস্ট করেন না। বিশেষ করে ফেসবুক ও টুইটারে তাঁর উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২১ ১৮:৪২
Share:

ধোনির টুইটারে ফিরে এল ‘ব্লু টিক’। গ্রাফিক্স - সৌভিক দেবনাথ

টুইটারে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ৮.২ লক্ষ। তবুও মহেন্দ্র সিং ধোনির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক ঘন্টার জন্য ‘ব্লু টিক’ সরিয়ে নিয়েছিল টুইটার। শনিবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল আমেরিকার মাইক্রো-ব্লগিং ও নেটমাধ্যমের এই সংস্থা। এই ঘটনা দাবানলের মতো ছড়িয়ে যেতেই এএনআই-কে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে টুইটার।

Advertisement

টুইটারের তরফ থেকে এএনআই-কে জানানো হয়েছে, ‘২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই অ্যাকাউন্ট সক্রিয় ছিল না। তবে এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হয়েছে।’ তাদের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে, ‘কোনও খ্যাতনামী ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট অনেকটা সময় সক্রিয় না থাকলে ‘ব্লু টিক’ সাময়িক ভাবে সরে যায়। অ্যাকাউন্ট সক্রিয় রাখতে হলে প্রতি ছয় মাসে টুইটার ব্যবহার করা প্রয়োজন।’

অন্যদের মতো অহরহ টুইটার ব্যবহার না করলেও ‘ব্র্যান্ড ধোনি’ এখনও একই রকম ভাবে জনপ্রিয়। বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে তিনি অমিতাভ বচ্চন, সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিরাট কোহলীর মতো ব্যক্তিত্বকে পাল্লা দেন। এহেন ধোনির নামের পাশ থেকে টুইটার ‘ব্লু টিক’ কেড়ে নেওয়ার জন্য নেটাগরিকরা অবাক!

Advertisement

গত বছর ১৫ অগস্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণার মঞ্চ হিসেবে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুককেই বেছে নিয়েছিলেন ধোনি। তখনও পর্যন্ত তাঁর টুইটারে ‘ব্লু টিক’ থাকলেও অবসরের মতো বড় ঘোষণার ক্ষেত্রে সেই নেটমাধ্যমকে ব্যবহার করেননি তিনি। অনেকে মনে করছেন, সেই গোসা থেকেই তাঁর কাছ থেকে এ বার ‘ব্লু টিক’ কেড়ে নিয়েছিল টুইটার। কিন্তু অনেকের আবার বক্তব্য, এক বছর আগের গোসা টুইটার কেন এখন দেখাবে! এক সাইবার বিশেষজ্ঞের মতে, ‘‘টুইটারের মতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এমন বোকা-বোকা রাগ দেখায় না। ধোনির অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক সরিয়ে নেওয়ার অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে।’’

‘ব্লু টিক’ সরে যাওয়ার পর ধোনির টুইটার এমন ছিল।

সাধারণত টুইটার তাঁদের অ্যাকাউন্টেই ব্লু টিক দেয়, যাঁদের টুইটারে ‘ফলোয়ার’ অগুন্তি। ওই নীল ‘টিক’ চিহ্ন থাকার অর্থ, অ্যাকাউন্টটি সংস্থা কর্তৃক ‘ভেরিফায়েড’। সাধারণত, খ্যাতনামীদের ক্ষেত্রে টুইটার বা ফেসবুক এই পন্থা অবলম্বন করে থাকে। যাতে নেটাগরিকরা বুঝতে পারেন, তিনি ‘আসল’ মানুষটির সঙ্গেই সংযোগ স্থাপন করছেন। ট্রফি জয়ের নিরিখে ধোনি দেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। তাঁর আইপিএল রেকর্ডও আকর্ষণীয়। তেমনই আকর্ষণীয় তাঁর জীবনযাপন। যা একেবারেই অন্তরালে থাকে সাধারণত। তিনি কখনও চলে যান কাশ্মীরে ফৌজিদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিতে। কখনও রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির হন টেরিটোরিয়াল আর্মির উর্দিতে। আবার কখনও ছদ্মবেশে বিশাল মোটারবাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রাঁচির রাস্তায়।

কিন্তু ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে থাকলেও ধোনি সচরাচর পোস্ট করেন না। বিশেষত, ফেসবুক ও টুইটারে তাঁর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ২০১৮ সাল থেকেই তিনি টুইটারে পোস্ট করা কমিয়ে দিয়েছিলেন। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি শেষ টুইট করেছিলেন টি২০ এবং ৫০ ওভারের ম্যাচে বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক। তিনি টুইটারে এত অনিয়মিত বলেই কি ‘ব্লু টিক’ সরিয়ে দেওয়া! নাকি ধোনির ফলোয়ার কমেছে টুইটারে! কেউই ঠিক করে বলতে পারছেন না। স্বয়ং ধোনিও, যথারীতি, নীরব। তবে কয়েকঘন্টার মধ্যেই ধোনির অ্যাকাউন্টে আবার ব্লু টিক দেখা যায়। আপাতত ধোনির ফলোয়ারের সংখ্যা ৮.২ লক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement