প্রতীকী ছবি।
বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে সঙ্ঘাত আরও তীব্র হল ইস্টবেঙ্গলের।
লগ্নিকারী সংস্থার শীর্ষ কর্তা সম্প্রতি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে ই-মেল করে জানিয়েছেন, এখনও বিচ্ছেদ হয়নি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। তাই কোনও ভাবেই যেন ইস্টবেঙ্গলকে ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য অন্য কোনও নামে নথিভুক্ত করতে না দেওয়া হয়।
কয়েক দিন আগেই লাল-হলুদ শিবিরের তরফে ফেডারেশনকে জানানো হয়েছিল, লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে ৩১ মে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তাই তাদের শুধু ইস্টবেঙ্গল নামেই ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য নথিভুক্ত করতে দেওয়া হোক। এর পরেই ফেডারেশনের ক্লাব লাইসেন্সিং বিভাগের তরফে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তাদের ই-মেল করা হয়। এই তালিকায় ছিলেন লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা। তাঁদের জানানো হয়, চলতি মাসের ১০ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে হবে। লগ্নিকারী সংস্থার শীর্ষ কর্তা পাল্টা ই-মেল করে ফেডারেশনকে জানান, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পরে যে কোম্পানি তৈরি হয়েছিল, তার অস্তিত্ব এখনও আছে। বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনও সংস্থাকে যেন ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য নথিভুক্ত হওয়ার ছাড়পত্র না দেওয়া হয়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে এক শীর্ষ কর্তার প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া যে চলছে তা নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবর পেয়েছি, সংস্থার অন্দরমহলে বলা হয়েছে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। সত্যিটা আসলে কী? আমরা বিভ্রান্ত।’’
এ দিকে, ঘড়ি-বিতর্কে ইস্টবেঙ্গলের লগ্নিকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ফিফার দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিলেন ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার। তাঁর অভিযোগ, ‘‘যে বিশেষ ঘড়ি আমাকে দেওয়া হয়েছিল ক্লাবের তরফে তা এখন বোরখার কাছে। অথচ আমার বেতন থেকে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টা আমি ফিফায় জানাব।’’