নিয়ম না মানলে সোজা বহিস্কার, জানিয়ে দিল অলিম্পিক্স কমিটি। ফাইল চিত্র
কোভিড নিয়ম না মানলে শুধু এ বারের মতো গেমস ভিলেজ থেকে নয়, ভবিষ্যতের অলিম্পিক্সেও জায়গা হবে না। টোকিয়ো অলিম্পিক্স শুরু হওয়ার পাঁচ সপ্তাহে আগে অংশ নিতে চলা সমস্ত অ্যাথলিটদের এই হুঁশিয়ারি দিল উদ্যোক্তারা। এই বিষয়ে ৭০ পাতার একটি ‘রুল বুক’ প্রকাশ করেছে অলিম্পিক্স কমিটি। সেই বইতে সমস্ত নিয়ম তুলে ধরা হয়েছে। জাপান এমনিতেই করোনা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছে। দেশের একাধিক মানুষ অলিম্পিক্স আয়োজনের বিপক্ষে। তাই আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করছেন উদ্যোক্তারা।
এই বিষয়ে অলিম্পিক্সের পরিচালক পিয়েরি ডুকেরেই বলেছেন, “নিয়ম সবার জন্য সমান। আর তাছাড়া কোভিড আতঙ্কের মধ্যে অলিম্পিক্স আয়োজন করা হচ্ছে বলেই এত নিয়ম পালন করা হবে। আর সেই নিয়মের মধ্যে দিয়ে চলতে হবে। খেলার মাঠে কিন্তু নিয়ম মেনে ম্যাচ পরিচালনা করা হয়। তাই খেলোয়াড়রা নিয়মের গুরুত্ব জানেন। তাই আশা করি সবাই আমাদের সাহায্য করবেন।”
সেই ১৯৮৮ সাল থেকে অলিম্পিক্সে কন্ডোমের ব্যবহার শুরু হয়েছে। এখনও অ্যাথলিটদের জন্য গেমস ভিলেজে অঢেল কন্ডোম রাখা হয়। এ বারের টোকিও অলিম্পিক্সে কন্ডোম থাকলেও তার ব্যবহারে রয়েছে বিধিনিষেধ। কোভিডের জন্য সামাজিক দূরত্ব মানতেই হবে। তাই কন্ডোম থাকলেও টোকিও অলিম্পিক্সে সেটা ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া আরও নিয়ম পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বার গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা তাদের প্রিয় অ্যাথলিটদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুধু হাততালি দিতে পারবেন, করা যাবে না। অলিম্পিক্স কমিটির দাবি চিৎকার না করলে গ্যালারিতে পাশাপাশি বসে থাকার সময়ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
গেমস ভিলেজের খাবারের জায়গায় সব অ্যাথলিটরা আড্ডা দেন। একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তবে এ বার নিয়ম কিন্তু বেশ কঠিন। অ্যাথলিটদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে দল বেধে নয়, ডাইনিংয়ে একা খেতে হবে।