Tokyo Olympics

Tokyo Olympics: জেল খাটা মা-কে ছোটবেলায় না পাওয়া সিমোনে বাইলসের পুরো টোকিয়ো অলিম্পিক্সই কি গেল

দুটো ইভেন্ট থেকে সরলেও এখনও আরও চারটি ইভেন্টের খেলা বাকি রয়েছে বাইলসের।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২১ ১৪:২০
Share:

দুটো ইভেন্ট থেকে সরে গেলেন সিমোনে বাইলস। ছবি: রয়টার্স

টোকিয়ো অলিম্পিক্সের দুটো ইভেন্ট থেকে সরে গেলেন সিমোনে বাইলস। মঙ্গলবার দলগত ইভেন্টের পর বুধবার একটি ব্যক্তিগত ইভেন্টের ফাইনাল থেকেও নাম সরিয়ে নিলেন আমেরিকার তারকা জিমন্যাস্ট। তবে কি এ বারের অলিম্পিক্সে দেখাই যাবে না বাইলসকে?

দুটো ইভেন্ট থেকে সরলেও এখনও আরও চারটি ইভেন্টের খেলা বাকি রয়েছে বাইলসের। আগামী সপ্তাহে এই ইভেন্টগুলি হবে। তার আগে নিজের মানসিক সমস্যা কাটিয়ে নেমে পড়তেই পারেন ২৪ বছরের এই জিমন্যাস্ট। তবে পুরোটাই নির্ভর করবে তাঁর উপর।

Advertisement

এখনও বাকি রয়েছে মেয়েদের ভল্ট, ব্যালেন্স বিম, আনইভেন বার এবং ফ্লোর ইভেন্ট। এই চারটি ইভেন্টেই যোগ্যতা অর্জন করেছেন তিনি। ১, ২ এবং ৩ অগস্ট এই চারটি ইভেন্ট রয়েছে। তাই বাইলসের কাছে পদক জয়ের সুযোগ রয়েছে এখনও।

ছবি: রয়টার্স

শারীরিক ভাবে সুস্থ রয়েছেন বাইলস। তাই মানসিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলেই নামতে পারবেন তিনি। তবে বেশ কিছু দিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। ইনস্টাগ্রামে কিছু দিন আগে লেখেন, ‘মনে হচ্ছে পুরো পৃথিবীর বোঝা আমার কাঁধে।’ তবে কি পদক জয়ের চাপে ভুগছেন বাইলস?

Advertisement

বাইলস লিখেছিলেন, ‘আমার পারফরম্যান্স দেখে মনে হয় কোনও চাপই নেই আমার। কিন্তু তেমনটা নয়। অলিম্পিক্স কোনও মজা নয়।’ সাংবাদিক বৈঠকেও নিজের মানসিক সমস্যার কথা বলেছিলেন বাইলস। মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি।

ছোটবেলায় মায়ের কাছে থাকতে পারেননি বাইলস। ২০০৩ সালে তাঁর দাদু এবং দিদিমা দত্তক নিয়েছিলেন তাঁকে। মাদকে আকৃষ্ট ছিলেন বাইলসের মা। জেলেও গিয়েছিলেন। বাইলস বলেন, “কখনও মায়ের কাছে যেতে পারিনি।” স্কুলেও নানা কুমন্তব্য শুনতে হয়েছিল তাঁকে। সেই স্মৃতিও খুব একটা ভাল না বাইলসের।

মানসিক রোগের ওষুধ খেতে হত তাঁকে। সেই তথ্য বাইরে চলে আসে। তা নিয়েও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হতে হয় বাইলসকে। আমেরিকার জিমন্যাস্ট দলের চিকিৎসক ল্যারি নাসের শ্লীলতাহানি করেছিলেন, অভিযোগ করেছিলেন বাইলস। ১০০ জন জিমন্যাস্ট অভিযোগ করেছিলেন এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বাইলসও।

সেই ঘটনা মানসিক ভাবে ভেঙে দিয়েছিল বাইলসকে। সেই সঙ্গে তাঁর ভাই গুলি চালানোর অভিযোগে প্রায় জেলে যাচ্ছিলেন। উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত মুক্তি পান তিনি।

এমন বিভিন্ন মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করার সময়ই আসে করোনা অতিমারি। দেশ জুড়ে লকডাউন। সকলের মতো আটকে পড়েন বাইলসও। নিজেকে যে এখনও সামলে উঠতে পারেননি, তা বোঝা যাচ্ছে অলিম্পিক্সের দুটি ইভেন্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায়।

বুধবার আমেরিকার জিমন্যাস্টিক্স দল জানায় অল অ্যারাউন্ড ইভেন্ট থেকে মানসিক সমস্যার কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন বাইলস। দল তাঁর পাশে আছে বলেও জানানো হয়েছে। পরের ইভেন্টগুলিতে দেখা যাবে বাইলসকে? উত্তরের আশায় গোটা বিশ্ব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement