শেলি পারবেন সোনা জিততে? ফাইল ছবি
তিনি ট্র্যাকে নামলেই তৈরি হয় রেকর্ড। তিনি দৌড় শুরু করলেই একটা গোটা দেশে তৈরি হতে পারে অনেক স্বপ্ন। সেই শেলি অ্যান ফ্রেজার প্রাইসকে নিয়ে এ বার আশায় বুক বাঁধছে জামাইকা। তিনিই নন, শেলিকে নিয়ে বাজি লড়ছেন আর একজনও। তিনি উসেইন বোল্ট।
ক্যারিবিয়ান দেশের এতদিন যিনি নয়নের মণি ছিলেন, সেই বোল্ট বছর চারেক হল নিজের জুতোজোড়া তুলে রেখেছেন। ২০১৭-র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে শেষ বার দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাই জামাইকা এখন স্বপ্ন দেখছে শেলিকে নিয়েই।
৩৪ বছর বয়স হয়েছে শেলির। যদি তিনি ১০০ মিটারে সোনা জেতেন, তাহলে সবথেকে বেশি বয়সে স্প্রিন্টে সোনা জেতার নজির গড়বেন। সেই সঙ্গে ছুঁয়ে ফেলবেন বোল্টকেও। অলিম্পিক্সে প্রথম মহিলা দৌড়বিদ হিসেবে তিনটি সোনা জেতার নজির গড়বেন।
এই সবই সম্ভব হয়েছে শেলির অদম্য মানসিকতার জন্যে। চার বছর আগে তিনি মা হয়েছেন। মাতৃত্বের পর এ ধরনের খেলায় ফিরে আসা বিরল নয়। তবে অলিম্পিক্সে সোনা জেতার স্বপ্ন দেখা বোধহয় বাড়াবাড়ি। সেটাই সম্ভব করে দেখাতে মরিয়া শেলি।
২০১৯-এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছেন। তার আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মোট আটটি সোনা রয়েছে তাঁর। ২০০৮ বেজিং এবং ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছেন। এ ছাড়া বিশ্ব ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপ, ডায়মন্ড লিগ, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স ফাইনালে তাঁর সাফল্য যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছে আকর্ষণীয়। সে কারণেই বোল্ট বলেছেন, “একমাত্র শেলি ইচ্ছা করলে তবেই হারতে পারে।”
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কী ভাবে এত বাধা পেরিয়েও সোনা জিততে পারেন শেলি? বোল্টের ব্যাখ্যা, “নিজের উপর বেশি চাপ নেওয়া চলবে না। কারণ ওর প্রস্তুতি ভাল হয়েছে, ছন্দে রয়েছে। তাই ট্র্যাকে নেমে নিজের সেরাটা দিতে হবে এবং নিজের পরিকল্পনা সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে হবে।”
মাতৃত্বের পরেও দমেননি শেলি।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
বোল্টের সংযোজন, “ওকে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। আমার দেশের মেয়ে, আমার মতো তিনটি অলিম্পিক্স সোনা জেতার সুযোগ রয়েছে ওর কাছে। উত্তেজনায় তর সইছে না।”
শেলি কতটা ছন্দে রয়েছেন তা সামান্য উদাহরণ দিলেই বোঝা যাবে। গত জুনে ১০.৬৩ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়েছেন তিনি। বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম মহিলা দৌড়বিদ হিসেবে এই কৃতিত্ব। ২০০ মিটারেও তিনি দ্বিতীয় দ্রুততম। জামাইকার ট্রায়াল ফাইনালে ২১.৭৯ সেকেন্ড সময় করেছেন।