Tokyo Olympics

Tokyo Olympics: অদিতির সাফল্যের অন্যতম নেপথ্যনায়ক তাঁর ‘ক্যাডি’ জননী

রিয়ো অলিম্পিক্সে ৪১ তম স্থান। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে শেষ করলেন চতুর্থ স্থানে। ভারতের প্রথম গল্ফার হিসেবে অলিম্পিক্সে পদক জয় হল না অদিতির।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২১ ১১:২১
Share:

মায়ের সঙ্গে অদিতি। —ফাইল চিত্র

রিয়ো অলিম্পিক্সে পারেননি। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে স্বপ্ন পূরণের খুব কাছে এসে পারলেন না অদিতি অশোক। ভারতের প্রথম গল্ফার হিসেবে অলিম্পিক্সে পদক হল না তাঁর। প্রথম রাউন্ড থেকে যে দাপট দেখিয়ে আসছিলেন তা শেষ রাউন্ডে সাফল্য এনে দিতে পারল না।

তবে রিয়োতে ৪১ নম্বরে শেষ করা অদিতি টোকিয়োতে চতুর্থ। এই সাফল্যের পিছনে হাত রয়েছে তাঁর মায়ের। কোনও ভাড়া করা লোক নন, অলিম্পিক্সে অদিতির ক্যাডি হিসেবে কাজ করেছেন তাঁর মা নিজেই। টোকিয়োর প্রবল গরমে প্রত্যেক ক্রীড়াবিদই কোনও না কোনও ভাবে সমস্যায় পড়েছেন। অদিতিও তাঁর ব্যতিক্রম নন। কিন্তু সেই গরম এবং প্রবল রোদের মধ্যেও অদিতির মা ম্যাশ ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেছেন মেয়ের পাশে।

Advertisement

বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অদিতির ক্যাডি হিসেবে থাকেন তাঁর বাবা অশোক গুডলামণি। রিয়ো অলিম্পিক্সেও তিনিই ছিলেন। কিন্তু টোকিয়োয় যোগ্যতা অর্জনের পরেই অদিতি মা-কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাঁকেই ক্যাডি বানিয়ে নিয়ে যাবেন। সেই কথা রেখেছেন অদিতি।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

এই নিয়ে গল্ফ চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে অদিতি বলেছেন, “খেলাটা সম্পর্কে বাবা প্রচুর জানে। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার থেকেও বেশি জানে। তাই বাবার বুদ্ধির উপর মাঝেসাঝেই নির্ভর করতে হয় আমাকে। মা-কে আমি সমস্ত ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে পারি। তবে বাবার মতো গল্ফের ব্যাপারে বেশি মতামত দিতে পারে না। এখানে এসে বাবার প্রতি নির্ভরশীলতা অনেকটাই কেটে গিয়েছে আমার। নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারছি।”

Advertisement

তবে মা সঙ্গে আসায় একটা বড় লাভ হয়েছে অদিতির। কী সেটা? গল্ফার জানালেন, “আমি খারাপ খেললে বাবা বড্ড বেশি চাপ নিয়ে ফেলে। মায়ের সঙ্গে তুলনায় অনেক বেশি শান্ত থাকতে পারি। এ সপ্তাহে সেটা অনেকটাই সাহায্য করেছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement