মেজাজও হারালেন নোভাক জোকোভিচ। ছবি: পিটিআই
সোনা তো আগেই হারিয়েছিলেন। পরে ব্রোঞ্জও। সবার শেষে মেজাজও হারালেন নোভাক জোকোভিচ। ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে মাথা গরম করে গ্যালারিতে র্যাকেট ছুড়ে মারলেন। আর একটি র্যাকেট কোর্টেই আছড়ে মারলেন।
স্পেনের পাবলো কারেনো বুস্তার বিরুদ্ধে ম্যাচে নির্ণায়ক তৃতীয় সেটে একটি পয়েন্ট নষ্ট করার পর রাগে, হতাশায় দর্শকহীন গ্যালারিতে র্যাকেট ছুড়ে মারেন। দর্শকাসনের পঞ্চম সরিতে গিয়ে র্যাকেটটি পড়ে।
কয়েকটি গেম পরে জোকোভিচের সার্ভিস ভেঙে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন বুস্তা। তখন একটি পয়েন্ট হারার পর নেটে র্যাকেট ছুড়ে মারেন জোকার। আম্পায়ার সতর্ক করে দেন।
শেষ পর্যন্ত ৪-৬, ৭-৬ (৮-৬), ৩-৬ গেমে ম্যাচ হারেন তিনি।
নিজের আচরণ নিয়ে ম্যাচের পর জোকোভিচ বলেন, ‘‘এগুলো করতে চাইনি। এগুলো পছন্দ করি না। এর জন্য দুঃখিত। এগুলো করলে খারাপ বার্তা যায়। কিন্তু আমরা সবাই মানুষ। মাঝে মাঝে আবেগ, অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়।’’
কোর্টেই আছড়ে মারলেন র্যাকেট। ছবি: টুইটার থেকে
অলিম্পিক্সে নামার শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি কতটা, সেটা বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকার কথাতেই পরিষ্কার। বলেন, ‘‘শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিলাম। তাই খেলতেই পারিনি। নিজের মধ্যে যেটুকু অবশিষ্ট ছিল, পুরোটাই দিয়েছিলাম। কিন্তু খুব বেশি বাকি ছিল না।’’
টোকিয়োর প্রচণ্ড গরমকেও দায়ি করেছেন তিনি। বলেন, ‘‘২০ বছর ধরে পেশাদার টেনিস খেলছি। কিন্তু এই রকম পরিবেশে জীবনে কখনও খেলিনি।’’