সোনা না পেলেও মন জিতে নিলেন লভলিনা। ফাইল চিত্র
প্রথম বার অলিম্পিক্সে এসে পদক জেতার জন্য ওঁকে শুধু রিংয়ে থাকা বিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়তে হয়নি, রিংয়ের বাইরে থাকা দুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মাসের পর মাস ধরে লড়াই করতে হয়েছে। চলতি টোকিয়ো অলিম্পিক্স ব্রোঞ্জ জেতার পর এমনটাই জানালেন লভলিনা বড়গোহাঁই।
জাতীয় দলের মুখ্য প্রশিক্ষক আলি কামারের সৌজন্যে সবাই জানেন যে লভলিনা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এ দিন খেলার শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে পায়ের চোটের কথাও স্বীকার করে নিলেন ২৩ বছরের এই বক্সার।
তিনি বলেন, “গত বছর কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার জন্য একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম। সেই জন্য চার মাস ঘরের বাইরে গিয়ে অনুশীলন করতে পারিনি। সেই সময় আবার ডান পায়ে চোট পেয়েছিলাম। ফলে একটা সময় অলিম্পিক্সে যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল তীব্র অনিশ্চয়তা। তবে সেই সময় বক্সিং সংস্থা ও কোচেরা মনোবল জুগিয়েছিলেন। তাই অলিম্পিক্সে সাফল্য পেলাম।”
অসম থেকে প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে অলিপিক্সে গিয়েছিলেন। আর নেমেই সাফল্য। তাই এই পদক গোটা দেশকে উৎসর্গ করলেন লভলিনা। বলছেন, “সবাই আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন বলেই পদক জিততে পারলাম। এই পদক দেশের অগণিত সাধারণ মানুষকে উৎসর্গ করলাম।”
এ বারের অলিম্পিক্সে যাবতীয় সাফল্য মহিলা অ্যাথলিটদের হাত ধরেই এসেছে। মীরাবাই চানু ও পিভি সিন্ধুর পর লভলিনা হলেন তৃতীয় মহিলা যিনি দেশের সম্মান বাড়িয়েছেন। তাই সোনা জিততে না পারলেও তাঁর মনে আক্ষেপ নেই। বরং বলছেন, “চাইনিজ তাইপেইয়ের চেন নিয়েন-চিনকে হারিয়ে বাড়তি আনন্দ পেয়েছিলাম। কারণ ও আমার থেকে অনেকটা এগিয়ে ছিল। এ বার ওর বিরুদ্ধে নামার আগে চার বার হেরেছিলাম। সেটা আমার মাথায় ছিল। তাই ওকে হারানো আমার কাছে বাড়তি আনন্দের।”