হার্সলে পার্চমেন্ট ইনস্টাগ্রাম
নামার কথা ছিল ট্র্যাকে। ভুল করে চলে গিয়েছিলেন লেকে। ১১০ মিটার হার্ডলসের প্রতিযোগী ভুল করে চলে গিয়েছিলেন রোয়িং ইভেন্ট যেখানে হচ্ছিল সেখানে। এক স্বেচ্ছাসেবিকার সাহায্যে তিনি সময় মতো যথাস্থানে পৌঁছতে পেরেছিলেন। শুধু তাই নয়, গলায় উঠেছিল সোনার পদকও। সেই স্বেচ্ছাসেবিকাকে সোনা উপহার দিলেন জামাইকার অ্যাথলিট।
জামাইকার হার্সলে পার্চমেন্টের সময় পেরিয়ে যাচ্ছিল। সময় মতো পৌঁছতে না পারলে টোকিয়ো অলিম্পিক্সে নিজের ইভেন্টে নামতে পারতেন না। এই অবস্থায় হার্সলেকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন এক স্বেচ্ছাসেবিকা। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে হার্সলেকে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।
হতাশ করেননি হার্সলেও। সোনা জিতেছিলেন নিজের ইভেন্টে। সোনা জেতার পর এ বার সেই মহিলার সঙ্গে দেখা করেছেন হার্সলে। নেটমাধ্যমে এই ঘটনার কথা জানিয়ে জামাইকার এই স্প্রিন্টার লেখেন, 'আমি ভুল করে অন্য বাস ধরে ফেলেছিলাম। কানে হেডফোন থাকায় কিছুই শুনতে পাইনি। যখন খেয়াল হল, তখন বুঝতে পারলাম ভুল জায়গায় চলে এসেছি। রোয়িং চলছিল সেখানে। ওখান থেকে সকলে বলল, গেমস ভিলেজে ফিরে গিয়ে ফের বাস ধরে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে ফিরতে। তবে আমার হাতে অত সময় ছিল না। আমি ট্যাক্সি ধরতে গেলেও তা সম্ভব হয়নি। সেই সময় এগিয়ে আসেন এক সেচ্ছাসেবিকা। আমায় একটা ট্যাক্সি ধরিয়ে দিয়ে টাকাও দিয়ে দেন। সেই ট্যাক্সি ধরেই আমি অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে পৌঁছে যাই। তখন হাতে যথেষ্টই সময় ছিল ওয়ার্মআপ করার।'
সোনা জিতে সেই মহিলাকে খুঁজছিলেন হার্সলে। জামাইকান অ্যাথলিট লেখেন, 'আমি সেই মহিলাকে খুঁজছিলাম। আমার সোনার পদক ওঁকে দেখাতে চেয়েছিলাম। ওঁর জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।'
শেষ পর্যন্ত হার্সলের সেই আশাও পূরণ হয়েছে। ওই স্বেচ্ছাসেবিকার সঙ্গে দেখা করে সোনার পদক দেখানোর পাশাপাশি টাকা ফেরত দিতে পেরেছেন হার্সলে। সঙ্গে একটি টি শার্ট দিয়ে তাঁর সঙ্গে নিজস্বীও তুলেছেন। দেখা করে সেই স্বেচ্ছাসেবিকাকে তিনি বলেন, ''আপনার জন্যই আমি এই জায়গায় আসতে পেরেছি। সোনা জিততে পেরেছি।''
১১০ মিটার হার্ডলস ১৩.০৪ সেকেন্ডে শেষ করে সোনা জিতে নেন এই জামাইকান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রান্ট হলওয়ে।