ভারতের পুরুষ হকি দল টুইটার
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ী ভারতের পুরুষ হকি দলের ১৮ জনের মধ্যে ৯ জনই উঠে এসেছেন জলন্ধরের সুরজিৎ অ্যাকাডেমি থেকে। ভারতের এই সাফল্যের পেছনে তাই এই অ্যাকাডেমির অবদান অনেক। তবে শুধু টোকিয়ো অলিম্পিক্সেই নয়, গত ছয় সাত বছর ধরে এই অ্যাকাডেমি থেকেই ভারতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছেন একাধিক হকি খেলোয়াড়।
ভারতীয় দলে খেলা মনপ্রীত সিংহ, হরমনপ্রীত সিংহ, বরুণ কুমার, হার্দিক সিংহ, দিলপ্রীত সিংহ, মনদীপ সিংহ, সামসের সিংহ, সিমরনজিৎ সিংহ ও গোলরক্ষক কৃষান পাঠক সকলেই এই অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছেন। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই অ্যাকাডেমি থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৩০ জন ভারতের হয়ে খেলেছেন।
এক সর্বভারতীয় চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যাকাডেমির প্রধান প্রশিক্ষক অবতার সিংহ বলেন, ‘‘একদিনে এই সাফল্য আসেনি। ১৬ বছরের পরিশ্রমের ফসল পাচ্ছে ভারতের হকি দল। পঞ্জাবের স্পোর্টস ডিরেক্টর থাকাকালীন পারগত সিংহের স্বপ্ন ছিল পঞ্জাবে একটি বিশ্বমানের অ্যাকাডেমি গড়ে তোলার। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে খেলা এই সমস্ত হকি খেলোয়াড়রা তারই অংশ।’’
অবতারদের লক্ষ্য ছোট বয়স থেকেই খেলোয়াড়দের তুলে আনা। তবে এই অ্যাকাডেমিতে সুযোগ পেতে হলে পাঁচ দিনের ট্রায়াল দিতে হয়। তিনি আরও বলেন, ‘‘ছোটদের আমরা শেখাতে চাই। শুরু করেছিলাম ৩০০ বাচ্চাকে নিয়ে। এখন প্রায় ১১০০ বাচ্চা এখানে হকি শেখে। পাঁচ দিনের ট্রায়াল দিয়ে আমরা বাচ্চাদের বাছাই করি। প্রথম তিন দিন চলে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা। সেখান থেকে আমরা বুঝতে পারি তারা কতদূর যেতে পারে।’’
গুরদেব সিংহ অ্যাকাডেমির আরও একজন প্রশিক্ষক বলেন, ‘‘ভারতীয় দলের এই সাফল্য আগামী দিনে বাচ্চাদের হকির প্রতি আরও আকৃষ্ট করবে। গত ৩০ বছরে ভারতে হকির সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পরের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে হরমনপ্রীত, মনপ্রীতদের এই সাফল্য।’’