আট সোনার মালিক বোল্ট
গত কয়েক বছর ধরেই অলিম্পিক্সের ১০০ মিটার মানেই গোটা বিশ্বের চোখের সামনে ভাসত একটাই মুখ — জামাইকার উসেইন বোল্ট। কিন্তু টোকিয়ো অলিম্পিক্সের ১০০ মিটার দৌড় সবদিক থেকে আলাদা হতে চলেছে।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর এই প্রথম অলিম্পিক্সে দেখা যাবে না বোল্টকে। ২০১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পরেই অবসর নিয়েছেন বোল্ট। তবে তাঁর আগে সর্বত্র নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন। অলিম্পিক্সে তিনি আটটি সোনার মালিক তো বটেই, তাঁর নামের পাশেও বহু রেকর্ড রয়েছে। টোকিয়োয় পুরুষদের ১০০ মিটারে নতুন বিজয়ী দেখতে পাওয়ার আগে এক ঝলকে বোল্টের রেকর্ডগুলি দেখে নেওয়া যাক:
১০০ মিটার
২০০৮-এ রিবক গ্রাঁ প্রি-তে প্রথম ১০০ মিটারে বিশ্বরেকর্ড গড়েন বোল্ট। ৯.৭২ সেকেন্ডে রেস শেষ করেন। এরপর বার বার নিজের রেকর্ড ভেঙেছেন। সে বছরই বেজিং অলিম্পিক্সে ৯.৬৯ সেকেন্ডে ১০০ মিটার শেষ করেন। পরের বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৯.৫৮ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন, যা এখনও বিশ্বরেকর্ড। অলিম্পিক্সের রেকর্ডও তাঁর দখলে। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে ৯.৬৩ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন।
১৫০ মিটার ড্যাশ
এটি অলিম্পিক্সের প্রতিযোগিতা নয়। তবে এখানেও রেকর্ড বোল্টের দখলে। ২০০৯ ম্যাঞ্চেস্টারে গ্রেট সিটি গেমসে ১৪.৩৫ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন।
২০০ মিটার
২০০৮ বেজিং অলিম্পিক্সে সর্বপ্রথম ২০০ মিটারে বিশ্বরেকর্ড গড়েন বোল্ট। ১৯.৩০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে মাইকেল জনসনের রেকর্ড ভেঙে দেন। ২০০৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১৯.১৯ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন, যা আজও বিশ্বরেকর্ড।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
৪X১০০ মিটার রিলে
এই রেকর্ডে বোল্টের সম্পূর্ণ একার কৃতিত্ব যদিও নেই, তবে বিশ্বরেকর্ডের ভাগিদার তিনিও। ২০১২ অলিম্পিক্সে ৩৬.৮৪ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে তারা। বোল্টের সঙ্গে দলে ছিলেন নেস্তা কার্টার, মাইকেল ফ্রেটার এবং ইয়োহান ব্লেক। এই জুটিই ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েগুতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৩৭.০৪ সেকেন্ডে দৌড়ে বিশ্বরেকর্ড করেছিল।
২০০৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সব থেকে ভয়ঙ্কর ছিলেন বোল্ট। ১০০ মিটার এবং ২০০ মিটারে বিশ্বরেকর্ড করেন একই প্রতিযোগিতায়। শুধু তাই নয়, বোল্টের সর্বোচ্চ গতিও দেখা গিয়েছিল এই প্রতিযোগিতায়। ঘণ্টার ২৭.৭ মাইল গতিবেগে দৌড়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক সংস্থার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বোল্টের সম্পত্তির পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় ৬৬৪ কোটি টাকা। এর সিংহভাগই তিনি আয় করেছেন অবসর নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রোমোশন এবং বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ করে। বর্তমানে জামাইকার কিংস্টনে নিজের বাড়িতে স্ত্রী এবং সন্তানদের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই চোখ রাখছেন অলিম্পিক্সে।