অনুভূতির কথা শোনো, ঝরঝরে রাখো নিজেদের

নাইটদের বিরুদ্ধে বিজয়-ফর্মুলা

গৌতম গম্ভীরদের বিরুদ্ধে মুরলী বিজয়ের জেতার ফর্মূলা কি? ধারাবহিকতা রেখে যাও। নিজের অনুভূতির কথা শোনো। আর যতটা পারো, রিল্যাক্সড রাখো নিজেদের। আইপিএল নাইনে প্রথম দু’টো ম্যাচে বিশ্রী হারের পর ঠিক কেকেআর ম্যাচের আগে জয়ে ফিরেছে কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব। আর যে সে টিম নয়, পঞ্জাব প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে সোজা মহেন্দ্র সিংহ ধোনির রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:০৭
Share:

গৌতম গম্ভীরদের বিরুদ্ধে মুরলী বিজয়ের জেতার ফর্মূলা কি?

Advertisement

ধারাবহিকতা রেখে যাও। নিজের অনুভূতির কথা শোনো। আর যতটা পারো, রিল্যাক্সড রাখো নিজেদের।

আইপিএল নাইনে প্রথম দু’টো ম্যাচে বিশ্রী হারের পর ঠিক কেকেআর ম্যাচের আগে জয়ে ফিরেছে কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব। আর যে সে টিম নয়, পঞ্জাব প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে সোজা মহেন্দ্র সিংহ ধোনির রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসের বিরুদ্ধে। এবং ম্যাড ম্যাক্স শেষ লগ্নে যতই ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচটা বার করে দিন, জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি— মুরলী বিজয়। ৪৯ বলে ৫৩ করে। যিনি গম্ভীরের নাইটদের বিরুদ্ধে নামার চব্বিশ ঘণ্টা আগে টিমের জেতার ফর্মুলা বলে দিলেন।

Advertisement

‘‘আমাদের শুধু ধারাবাহিকতা রেখে যেতে হবে। আসলে টুর্নামেন্টটা এত বড় যে, বেশি দূর ভেবে লাভ নেই। এক একটা ম্যাচ করে এগোনো ভাল। কেকেআরের বিরুদ্ধেও আমরা সে ভাবেই এগোচ্ছি। নিজেদের রিল্যাক্সড রাখছি। অনুভূতির কথা শুনছি। আর গেমপ্ল্যান অনুযায়ী চলার চেষ্টা করছি,’’ সোমবার আইপিএল ওয়েবসাইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন বিজয়। যিনি ধোনিদের বিরুদ্ধে দেখিয়ে দিয়েছেন, ধুমধাড়াক্কা না চালিয়েও ম্যাচ বার করে নেওয়া যায়। নেওয়া যায় মাথা ঠাণ্ডা রেখে, ক্রিকেট ম্যানুয়ালের উপর ভরসা রেখে।

‘‘আসলে একটা ভাল বেস থাকা খুব জরুরি। উইকেটে যদি বেশিক্ষণ থাকতে হয় তা হলে পরিবেশকে খুব দ্রুত বুঝে নিতে হবে। সঙ্গে যত বেশি সম্ভব দুই বা তিন রান নেওয়ার দিকে যেতে হবে। উইকেট যদি ব্যাটিংয়ের পক্ষে ভাল না হয়, তা হলে এগুলো খুব প্রয়োজন পড়ে,’’ বলে দিচ্ছেন বিজয়। সঙ্গে খোলাখুলি বলে দিচ্ছেন পুণের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের সময় কী ভাবে নিজের পাশাপাশি মনন ভোরাকেও সাহায্য করে গিয়েছিলেন। ‘‘আমি দেখলাম যে মনন খুব ভাল হিট করছে। বিশেষ করে থিসারা পেরিরাকে একটা ওভারে তো প্রচণ্ড মারল। আমি তখন ঠিক করি যে, ও যখন এত ভাল হিট করছে তখন ওকে দিয়ে আরও কুড়ি-তিরিশ রান করিয়ে নেব। টিম যাতে ভাল অবস্থায় চলে যায়।’’

বলে বিজয় দ্রুত যোগ করেন, ‘‘মন আসলে বল খুব ভাল টাইম করতে পারে। ওর ব্যাটিং স্টাইলটাও আমার সঙ্গে মেলে। মননের টেকনিকও ভাল। আমি শুধু চেয়েছিলাম যে ও নিজের খেলাটা খেলুক। আমি উল্টো দিকে ধরে থাকব। শিট অ্যাঙ্করের কাজটা করে যাব।’’

কিন্তু তার পরেও বিজয় কখনও-কখনও নির্মম হয়েছেন। বিশেষ করে ইশান্ত শর্মার উপর। সেটা কী করে সম্ভব হল? ‘‘ইশান্তের সঙ্গে আমি খেলিনি। আমি খেলেছি ওদের ফিল্ড প্লেসিংয়ের সঙ্গে। আমি শুধু দেখছিলাম যে, ও যাতে নিজের পছন্দের জায়গায় বল না ফেলতে পারে। হ্যাঁ, আমি ওকে খাটাতে চেয়েছি। সেটা হয়েওছে। আসলে যে প্ল্যানটা নিয়ে নেমেছিলাম ওর বিরুদ্ধে, খেটে গিয়েছে,’’ বলছেন বিজয়। যাঁর মনে হচ্ছে, প্রথম দু’টো ম্যাচে হারার পর পুণে ম্যাচ জেতাটা টিমের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ‘‘আমিও প্রবল ভাবে চাইছিলাম, ম্যাচটায় পারফর্ম করতে। আমাদের জন্য বড় ম্যাচ ছিল এটা। চেয়েছিলাম মাঠে গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব টিমের হয়ে কাজ শুরু করে দিতে।’’

আরও পড়ুন:
আইপিএলের সময়সূচি
আইপিএলের পয়েন্ট টেবল

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement