অত্যাধুনিক জিমন্যাসিয়াম ও আধুনিক প্রযুক্তির বোলিং মেশিন আগে থেকেই ছিল। শিক্ষার্থী ক্রিকেটারদের টেকনিকের দিক দিয়ে আরও পোক্ত করে তোলার জন্য এ বার দক্ষিণ কলকাতায় মেনল্যান্ড সম্বরণ অ্যাকাডেমিতে বসতে চলেছে ‘টাইগার টার্ফ’।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন অ্যাকাডেমির অন্যতম কর্ণধার ও বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী এই টাইগার টার্ফ? এটি মূলতঃ বিশেষ প্রযুক্তির কৃত্রিম ঘাস। যা পিচের উপর পাতা হয়। নিউজ়িল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে এই ধরনের কৃত্রিম ঘাসে অনুশীলন হয় নিয়মিত। যার ফলে সামনের পায়ে খেলার পাশাপাশি ব্যাটসম্যানরা দক্ষ হয়ে ওঠে পিছনের পায়েও।
সাধারণ ভাবে ক্রিকেট অ্যাকাডেমিগুলোতে কংক্রিটের পিচ বা বাইশ গজে ম্যাট পেতে খেলা শেখানো হয়। কিন্তু কংক্রিটে ফাটল ধরলে সমস্যা বাড়ে। পাশাপাশি, ম্যাটের বাঁধন আলগা হয়ে গেলেও সমস্যা হয়। কিন্তু এই ম্যাট এক বার পিচে পেতে দিলে ছ’-সাত বছর পিচ নিয়ে কোনও চিন্তা নেই।
এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বাংলার বোলিং কোচ রণদেব বসু। তিনি বলছেন, ‘‘গোটা বিশ্বে ম্যাটে অনুশীলন কমে গিয়েছে। এই ধরনের কৃত্রিম ঘাস পিচের উপর পেতে দিলে, কড়া রোদ বা বৃষ্টি কিছুতেই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। খুদে ক্রিকেটাররা ছোট থেকেই ভাল প্রস্তুতি নিয়ে এগোতে পারবে। বিদেশে এ ভাবেই এখন অনুশীলন হয় বাচ্চাদের’’
কেন এই কৃত্রিম ঘাস তাঁর অ্যাকাডেমির জন্য? তা জানতে চাইলে সম্বরণবাবু বলছেন, ‘‘এই কৃত্রিম ঘাসের পিচে বলে বাউন্স থাকবে। ফলে ব্যাটসম্যানদের শিক্ষার্থী জীবন থেকেই ব্যাকফুটে খেলার একটা অভ্যাস বা ফুটওয়ার্ক তৈরি হবে নিজে থেকেই। পাশাপাশি, এই ধরনের কৃত্রিম ঘাসে বল করলে খুদে বোলারদেরও লেংথ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকবে। যার ফলে লাভবান হবে বাংলার আগামী দিনের ক্রিকেট।’’
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অ্যাকাডেমির আর এক কর্ণধার অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বাংলা থেকে দক্ষ ক্রিকেটার তৈরি করার জন্যই
এই প্রয়াস।’’