উৎসব: এতিহাদ স্টেডিয়ামের সামনে ম্যান সিটির সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। ছবি রয়টার্স।
স্বপ্নপূরণ। মঙ্গলবার রাতে লেস্টার সিটির বিরুদ্ধে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড হারতেই অপেক্ষার অবসান। তিন ম্যাচ বাকি থাকতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। গত চার মরসুমে এই নিয়ে তৃতীয় বার।
ম্যান সিটির ইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু তা বেড়ে গিয়েছিল চেলসির কাছে সের্খিয়ো আগুয়েরোদের হার ও অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে ম্যান ইউয়ের নাটকীয় জয়ের ফলে। ম্যান সিটির ফুটবলার ও সমর্থকেরা মঙ্গলবার অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ছিলেন লেস্টার বনাম ম্যান ইউ দ্বৈরথের দিকে। পল পোগবারা ১-২ হারতেই উৎসবে মেতে ওঠেন তাঁরা।
চার মরসুমে ম্যান সিটির তৃতীয় বার ইপিএল জয়ের নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওলা। ৩৫ ম্যাচে এই মুহূর্তে ৮০ পয়েন্ট কেভিন দ্য ব্রুইনদের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যান ইউয়ের (৩৫ ম্যাচে ৭০) চেয়ে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে তাঁরা। এখনও বাকি রয়েছে তিনটি ম্যাচ। তা সত্ত্বেও পেপ মনে করেন, এই মরসুমে ইপিএল জয়ই ছিল কঠিনতম। তাঁর মনে এখনও যে কাঁটার মত বিঁধে রয়েছে মরসুমের শুরুর দিকের ব্যর্থতা। ইপিএলে প্রথম ১২টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে জিতেছিল ম্যান সিটি। মরসুমের মাঝপথে চোট পেয়ে ছিটকে যান আগুয়েরো, দ্য ব্রুইন। সেই সঙ্গে ছিল করোনার ধাক্কা। ম্যান সিটির ম্যানেজার হিসেবে তৃতীয় বার ইপিএল জিতে পেপ বলেছেন, “ইপিএলের এ বারের মরসুম ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। অনেক বেশি কঠিন। নানা রকম প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে এগোতে হয়েছিল আমাদের। তাই এই সাফল্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।” ফুটবলারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি আরও বলেছেন, “প্রত্যেক দিন ছেলেরা লড়াই করেছে সফল হওয়ার জন্য। চেষ্টা করেছে উন্নতি করার। ফুটবলার থেকে ড্রেসিংরুমের কর্মী, সকলেরই সমান অবদান রয়েছে এই সাফল্যে।”
গণমাধ্যমে ইপিএলের তিনটি ট্রফির ছবি পোস্ট করে দ্য ব্রুইন লিখেছেন, “আরও একটা। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ২০২০/২১।” ম্যান সিটির প্রাক্তন তারকা দাভিদ সিলভা লিখেছেন, “চ্যাম্পিয়ন। অভিনন্দন সকলকে। তোমরাই যোগ্য।” ফিল ফডেন লিখেছেন, “এই দলের সদস্য হতে পেরে গর্বিত। চ্যাম্পিয়ন্স।” মরসুম শেষ হওয়ার পরে ম্যান সিটি ছাড়বেন আগুয়েরো। আর্জেন্টিনীয় স্ট্রাইকার লিখেছেন, “চ্যাম্পিয়ন্স। এই দলের জন্য গর্বিত। ম্যান সিটির হয়ে পাঁচবার ইপিএল জিতলাম।”