বিশ্বকাপ শেষ। ক্রিকেটাররা ফিরে গিয়েছেন দেশে। চার বছর পরের বিশ্বকাপে অনেককেই দেখা যাবে না। অনেকেই অবসর নিয়ে ফেলবেন। সেই সব তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে যদি একটা দল তৈরি করা হয়, তা হলে কেমন হবে তা? দেখে নেওয়া যাক সেই একাদশ।
ক্রিস গেল- এই দলের হয়ে ওপেন করবেন ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেল। এই ক্যারিবিয়ান তারকা যে কোনও বলে ছয় মারার জন্য বিখ্যাত। যদিও বয়স থাবা বসিয়েছে গেলের রিফ্লেক্সে।
হাশিম আমলা- গেলের সঙ্গে ওপেন করতে নামবেন হাশিম আমলা। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ না খেলার সম্ভাবনাই প্রবল।দক্ষিণ আফ্রিকার এই ওপেনার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০০৮ সালে।
ফ্যাফ ডু প্লেসি- তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নামবেন ফ্যাফ ডু প্লেসি। হাশিম আমলার তিন বছর পরে ২০১১ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক ঘটেছিল ডু প্লেসির। ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ তাঁর খেলার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
রস টেলর- ভারতের চার নম্বর পজিশন নিয়ে এখনও সমস্যা দূর হয়নি। নিউজিল্যান্ডের তারকা টেলর চার নম্বরে ভাল ব্যাট। ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
এমএস ধোনি- ধোনির অবসর নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে ধোনিই অটোমেটিক চয়েস।
মহম্মদ হাফিজ- লোয়ার মিডল অর্ডারে অন্যতম ভরসা হতে পারেন পাকিস্তানের মহম্মদ হাফিজ। ১৬ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়ে গিয়েছে এই পাক তারকার। ২০০৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক ঘটেছিল মহম্মদ হাফিজের।
মহম্মদ নবি- আফগানিস্তানের মতো একটি দলের হয়ে খেললেও মহম্মদ নবির অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ ক্রিকেটবিশ্ব। পরের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের জার্সি গায়ে নবিকে দেখা যাবে না।
মাশরাফি মোর্তাজা- বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাশরাফি মোর্তাজা। বাংলাদেশের উত্থানের পিছনে মোর্তাজার বড় ভূমিকা রয়েছে।
লাসিথ মালিঙ্গা- ব্যাটসম্যানদের ত্রাস শ্রীলঙ্কার এই তারকা ফাস্ট বোলার। মালিঙ্গার ইয়র্কারের জবাব নেই অনেক ব্যাটসম্যানের কাছেই। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডও সামলাতে পারেনি মালিঙ্গার ইয়র্কার।
লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট- পরের বিশ্বকাপে হয়তো দেখা যাবে না ইংল্যান্ডের তারকা সিমার লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটকেও। সেই ২০০৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন তিনি। দেখতে দেখতে ইংল্যান্ডের বোলিং বিভাগের প্রধান ভরসাহয়ে উঠেছিলেন তিনি।
ওয়াহাব রিয়াজ- পিতার মৃত্যুর জন্য ক্রিকেটে মনোনিবেশ করতে পারেননি একসময়ে। দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপে দারুণ ভাবে ফিরে আসেন। ২০০৮ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক ঘটেছিল ওয়াহাব রিয়াজের। ২০২৩ সালের আগেই হয়তো তিনি অবসর নেবেন।