ছবি সংগৃহীত
ভারতীয় শিবিরে করোনার হানায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ়ের পঞ্চম টেস্ট। ম্যাচ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ নিয়েও চলছে জল্পনা। রবিবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পৌঁছে প্রথম বার টেস্ট বাতিল নিয়ে মুখ খুললেন বিরাট কোহালি।
ভারতীয় অধিনায়ক জানিয়েছেন, টেস্ট সিরিজ় শেষ হওয়ার আগেই আইপিএল খেলতে চলে আসা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিরাটের সব চেয়ে প্রিয় ফর্ম্যাট টেস্ট। ইংল্যান্ডের মাটিতে ২-১ এগিয়েও ছিল ভারত। সেই পরিস্থিতি থেকে সিরিজ় শেষ না করে ফিরে আসার যন্ত্রণা উপলব্ধি করছেন তিনি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ভিডিয়োয় বিরাট বলেছেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কী ঘটে যেতে পারে, তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। তবে সিরিজ় শেষ করার আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি উড়ে আসা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’
ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট বাতিলের কারণ নিয়ে এখনও চর্চা অব্যাহত। কোথাও বলা হচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেটারেরা রাজি না হওয়ায় ভেস্তে যায় ওই টেস্ট। কারও বক্তব্য, আইপিএলের জন্যই ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে শেষ টেস্ট বাতিল হয়ে গিয়েছে। এ বার ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ডেভিড গাওয়ার নতুন তথ্য তুলে ধরলেন সবার সামনে। তাঁর দাবি, টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগের রাতে ভারতীয় বোর্ডকে ই-মেল করে না-খেলার কথা জানিয়ে দেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। একটি ওয়েবসাইটে গাওয়ার বলেছেন, ‘‘পরের দিন টেস্ট শুরু। তার আগের মাঝরাতে ভারতীয় বোর্ডকে বিরাট কোহালি ই-মেল করে যে, তারা খেলতে রাজি নয়।’’ তাঁর দাবি, ‘‘পুরো ঘটনা কী ঘটেছিল, সেটা জানা দরকার সবার।’’ এই ঘটনার সত্যতা যদিও যাচাই করা যায়নি।
ইংল্যান্ডের আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল আথারটন আবার কোনও একটা বিষয়ের দিকে আঙুল তুলতে চান না। তিনি টেস্ট বাতিল হওয়ার পিছনে তিনটে কারণের কথা বলছেন। নিজের কলামে আথারটন লিখেছেন, ‘‘কোভিড-১৯, ক্রিকেটারদের ক্ষমতা এবং আইপিএল। এই তিনটে কারণই কাজ করেছে টেস্ট বাতিল হওয়ার পিছনে।’’
ভারতীয় অধিনায়কের পক্ষ থেকে যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। টেস্ট থেকে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই এখন প্রধান লক্ষ্য আরসিবি অধিনায়কের। বিরাট বলেছেন, ‘‘আশা করব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে। সুষ্ঠু ভাবেই আইপিএল খেলতে পারব আমরা।’’
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক জানিয়েছেন, পরিবর্ত হিসেবে দলে যোগ দেওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে তিনি খুশি। এমনকি শেষ কয়েক মাস ধরেই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন বিরাট। কাদের নিলে দল প্রথম দফার ছন্দ বজায় রাখবে, সে ব্যাপারে যতটা সম্ভব নিজের মতামত জানিয়েছিলেন টিম ম্যানেজমেন্টকে।
প্রথম দফার দল থেকে পাঁচটি পরিবর্তন হয়েছে আরসিবি শিবিরে। অ্যাডাম জ়াম্পা, ড্যানিয়েল স্যামস, ফিন অ্যালেন, কেন রিচার্ডসন ও ওয়াশিংটন সুন্দর আমিরশাহির পর্বে নেই। তাঁদের পরিবর্তে যোগ দিয়েছেন ওয়াহিন্দু হাসরঙ্গ, দুষ্মন্ত চামিরা, টিম ডেভিড, জর্জ গার্টন ও আকাশ দীপ। প্রত্যেককে নিয়েই খুশি অধিনায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে আবার ফিরে আসার উত্তেজনা অন্য রকম। আমাদের কাছে এই প্রতিযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার পরেই রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেটা নিয়েও উত্তেজনা কম নেই ক্রিকেটারদের মধ্যে।’’ যোগ করেন, ‘‘প্রত্যেকের সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল আমার। কার জায়গায় কাকে নেওয়া হচ্ছে, সব কিছু নিয়েই দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কাদের নিলে দল আরও শক্তিশালী হবে, সে ব্যাপারেও কথাবার্তা হয়েছে।’’ বিরাট মনে করেন, পরিবর্ত হিসেবে যাঁদের উপরে ভরসা করা হয়েছে, প্রত্যেকেই দুরন্ত ক্রিকেটার। বলেছেন, ‘‘যারা এ বারে খেলতে পারছে না, তাদের অভাব অবশ্যই অনুভব করব। আরসিবি পরিবারের অন্যতম সদস্য হিসেবেই দেখা হবে তাদের। পরিবর্তে যারা খেলতে এসেছে, প্রত্যেকেই দক্ষতাসম্পন্ন ক্রিকেটার।’’