এই ঘটনার জন্যই কড়া শাস্তি জেরেভের। ছবি: টুইটার থেকে
চেয়ার আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে কড়া শাস্তির মুখে আলেকজান্ডার জেরেভ। তাঁকে আট সপ্তাহের জন্য নির্বাসিত করল এটিপি। এই সময়ে তিনি কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। পাশাপশি আগামী এক বছরের জন্য সতর্ক করা হয়েছে জেরেভকে। এই সময়ের মধ্যে আবার এমন কিছু করলে আরও বড় শাস্তি পেতে হবে তাঁকে।
মেক্সিকোর আকাপুলকোয় আয়োজিত মেক্সিতো ওপেনের ডাবসল ম্যাচ হারার পর বিরক্ত, ক্ষুব্ধ জেরেভ চিৎকার করতে করতে র্যাকেট দিয়ে বার বার আঘাত করেন আম্পায়ারের চেয়ারে। এই ঘটনার জন্য আগেই জার্মান তারকাকে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়। সঙ্গে পুরস্কার মূল্য থেকেও কেটে নেওয়া হয় ৩১ হাজার মার্কিন ডলার। কেড়ে নেওয়া হয় ওই প্রতিযোগিতায় জেরেভের অর্জিত সমস্ত সিঙ্গলস এবং ডাবলস পয়েন্ট। তাঁকে জানানো হয় আট সপ্তাহের মধ্যে এটিপি-র কোনও প্রতিযোগিতায় অশোভন আচরণ করলে আরও ২৫ হাজার ডলার জরিমানা করা হবে।
ওই ঘটনার পর জেরেভ নিজের ব্যবহারের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চান। তাতেও শেষ রক্ষা হল না বিশ্ব ক্রমতালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা জার্মান তারকার। ফলত, আগামী এক বছর সার্কিটে তাঁকে যথেষ্ট সংযম এবং ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। ঘটনার দিন থেকে এক বছর সময় কাল ধরা হবে বলে জানানো হয়েছে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের রানার্স আপকে। তবে, তাঁর জরিমানার পরিমাণ আর বৃদ্ধি করা হয়নি।
প্রথমে তাঁকে দেওয়া শাস্তি অত্যন্ত কম বলে সমালোচনা শুরু হয়। ২৩টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক সেরিনা উইলিয়ামস ২০০৯ সালের নিজের একটি ঘটনার উল্লেখ করে বিভেদের অভিযোগ আনেন। সেরিনার অভিযোগ ছিল, একই ধরনের অন্যায় করেও মহিলা খেলোয়াড়দের অনেক বেশি শাস্তি ভোগ করতে হয় পুরুষ খেলোয়াড়দের থেকে।
এখনও গ্রান্ড স্লাম জয়ের স্বাদ পাননি জেরেভ। তবে দু’বার ট্যুর চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। টোকিয়ো অলিম্পিক্সেও সিঙ্গলসে সোনা জেতেন।