নজির: কুম্বলেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে মনে করালেন নির্দেশ। টুইটার
ক্রিকেটের অত্যন্ত দুর্লভ এক কৃতিত্বের মালিক হয়ে বসল মেঘালয়ের কিশোর অফস্পিনার নির্দেশ বাইসোয়া। ঘরোয়া ক্রিকেটে মনে করাল অনিল কুম্বলেকে। সেই কৃতিত্ব হল, এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়া।
তেজপুরে অনূর্ধ্ব-১৬ বিজয় মার্চেন্ট ট্রফির ম্যাচে মেঘালয়ের হয়ে নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ২১ ওভার বল করে ৫১ রান দিয়ে ১০ উইকেট নেয় অফস্পিনার নির্দেশ। মেঘালয়ের হয়ে খেললেও নির্দেশ আদতে মেরঠের ক্রিকেটার। মেঘালয়ের হয়ে খেলছে ‘অতিথি ক্রিকেটার’ হিসেবে। তার দাপটে প্রথম দিনেই নাগাল্যান্ড শেষ হয়ে যায় ১১৩ রানে।
১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৎকালীন ফিরোজ শা কোটলায় এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে বিরল কৃতিত্বের মালিক হয়েছিলেন ভারতের লেগস্পিনার কুম্বলে। সে সময় জন্মও হয়নি এই কিশোরের। কী রকম লাগছে এ রকম কৃতিত্বের মালিক হয়ে? দিনের খেলার শেষে ১৫ বছরের তরুণের গলায় ধরে পড়ছে অবিশ্বাস। নির্দেশ বলছে, ‘‘আমার এখনও মনে হচ্ছে স্বপ্ন।’’ ক্রিকেট খেলা শুরু করার পরে ইনিংসে ১০ উইকেট পাওয়ার ব্যাপারটা কখনও মাথায় ছিল? দিনের নায়কের মন্তব্য, ‘‘অনিল কুম্বলে যখন ১০ উইকেট নিয়েছিলেন, তখন আমার জন্মও হয়নি। কিন্তু ব্যাপারটা নিয়ে অনেক কাহিনি শুনেছি। এ রকম কিছু করে দেখানোটা আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু কখনও ভাবিনি ক্রিকেট জীবনের শুরুতেই এ রকম কিছু করতে পারব। খেলার শেষে আমি বাবা-মার সঙ্গে কথাও বলেছি। ওরাও দারুণ উচ্ছ্বসিত।’’ ম্যাচে কখন ভেবেছিলে ইনিংসে ১০ উইকেট নিতে পারবে? নির্দেশের জবাব, ‘‘লাঞ্চের আগেই আমি ছ’টা উইকেট তুলে নিয়েছিলাম। তখনই মনে হচ্ছিল, ১০ উইকেট পেতে পারি।’’
উত্তরপ্রদেশের মেরঠে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। সেখানে নির্দেশ ক্রিকেটের প্রাথমিক পাঠ নিয়েছিল কোচ সঞ্জয় রাস্তোগির কাছ থেকে। যিনি একটা সময় কোচিং করিয়েছেন প্রবীণ কুমার, ভুবনেশ্বর কুমারদের। এই দু’জনের সঙ্গে ছোটবেলায় দেখাও হয়েছিল নির্দেশের। খুদে অফস্পিনার বলছে, ‘‘ওরা মাঝে মাঝে এসে ট্রেনিং করত আর দেখা হলেই পরামর্শ দিত। ভুবি ভাইয়ের থেকে আমি অনেক সাহায্য পেয়েছি।’’ তিন বোন, দুই ভাইয়ের সংসারে সব চেয়ে ছোট নির্দেশই। নিজে অফস্পিনার, তাই তার কাছে আদর্শ ভারতীয় অফস্পিনার আর অশ্বিন। নির্দেশ বলছিল, ‘‘আমি অশ্বিনের বোলিং দেখে শেখার চেষ্টা করি। তা ছাড়া নেথান লায়নের বোলিংও আমার খুব ভাল লাগে।’’