দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা জিতল ৭ রানে। কুইন্টন ডি’ককের ব্যাটিং এবং কাগিসো রাবাডাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং জেতাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। লড়াই করেও ইংল্যান্ডকে জেতাতে পারলেন না হ্যারি ব্রুক।
শুক্রবার সেন্ট লুসিয়ায় টসে জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংরেজ অধিনায়ক জস বাটলার। সেই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে যায়। শুরু থেকেই ডি’ককের ব্যাটিংয়ে চাপে পড়ে যান ইংরেজ বোলারেরা। আর এক ওপেনার রিজ়া হেনড্রিক্স (১৯) ধরে খেলছিলেন। তিনি আউট হন দলের ৮৬ রানের মাথায়। কিছু ক্ষণ পরেই ফেরেন ডি’ককও। চারটি চার এবং চারটি ছয়ের সাহায্যে ৩৮ বলে ৬৫ রান করেন তিনি।
সেই দাপট ধরে রাখতে পারেননি বাকি ব্যাটারেরা। দক্ষিণ আফ্রিকা দ্রুত হারায় হেনরিখ ক্লাসেন (৮) এবং এইডেন মার্করামকে (১)। তবে প্রোটিয়াদের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান ডেভিড মিলার। চারটি চার এবং দুটি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৪৩ করেন তিনি। নির্ধারিত ওভারে ১৬৩-৬ তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
পিচের বিচারে খুব বেশি রান হয়তো নয়। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে কোনও ইংরেজ ব্যাটারই হাত খুলে খেলতে পারেননি। পিচে বল থেমে থেমে আসছিল। তা দেখে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারেরা পরিকল্পনামাফিক বল করলেন। জোরে বল করার বদলে স্লোয়ার দিলেন বেশি। তাতেই কাজ হল। ইংরেজ ব্যাটারদের বড় শট খেলার কোনও সুযোগ থাকল না। পাঁচ ওভার থেকে ১২তম ওভারের মধ্যে ইংল্যান্ড একটাও চার মারতে পারেনি।
ধারাবাহিক ভাবে উইকেটও হারাচ্ছিল ইংল্যান্ড। ৬১ রানের মধ্যে তারা চার উইকেট হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকে খেলা ধরেন ব্রুক এবং লিয়াম লিভিংস্টোন। দু’জনে মিলে আগ্রাসী খেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। শেষ চার ওভারে দরকার ছিল ৪৬ রান। ১৭তম ওভারে ওটনিয়েল বার্টম্যান দেন ২১ রান। ইংল্যান্ড তত ক্ষণে জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছে।
কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে দেন রাবাডা। ১৮তম ওভারে লিভিংস্টোনকে ফেরান তিনি। সেই ওভারে দেন মাত্র চার রান। পরের ওভারে মার্কো জানসেন মাত্র সাত রান দেন। শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৪ রান। প্রথম বলেই ব্রুককে আউট করেন নোখিয়া। মিড অন থেকে অনেক দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নেন অধিনায়ক মার্করাম। তৃতীয় বলে স্যাম কারেন চার মারেন। পরের দু’বলে এক রান হতেই দক্ষিণ আফ্রিকার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।