(বাঁ দিকে) রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড় (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই কোচের পদ থেকে সরে যাবেন রাহুল। সোমবার তিনি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে রোহিত শর্মা জানালেন, তিনি দ্রাবিড়কে থাকতে অনুরোধ করেছিলেন অনেক বার। কোচ রাজি হননি। দ্রাবিড় বিদায় নিতে চলায় বেশ আবেগপ্রবণ ভারতের অধিনায়ক।
এ দিন রোহিত বলেছেন, “আমি ওঁকে (দ্রাবিড়) থেকে যাওয়ার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলাম। তবে ওঁরও অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলোর খেয়াল রাখতে হবে। ব্যক্তিগত ভাবে ওঁর সঙ্গে সময়টা উপভোগ করেছি। আমি নিশ্চিত, বাকিরাও একই কথা বলবে। দারুণ লেগেছে ওঁর সঙ্গে কাজ করে।” দ্রাবিড়কে কোনও বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হবে কি না, সে প্রসঙ্গে রোহিতের উত্তর, “এখন এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।”
২০০৭ সালে দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বেই অভিষেক হয়েছিল রোহিতের। সে কথা ভারত অধিনায়কের মাথায় রয়েছে। বলেছেন, “আয়ারল্যান্ডে অভিষেক হওয়ার সময় উনি আমার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম অধিনায়ক। তার পরে টেস্ট দলে আসার সময় ওঁকে নিজের চোখে খেলতে দেখেছি। আমাদের সবার কাছে আদর্শ উনি।”
রোহিতের সংযোজন, “বড় হওয়ার সময় ওঁর খেলা দেখেছি। জেনেছি, উনি ব্যক্তিগত ভাবে কী কী অর্জন করেছেন। দলে কতটা অবদান রয়েছে তাঁর, সেটাও অজানা ছিল না। কঠিন পরিস্থিতিতে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করাই ওঁর আসল বৈশিষ্ট্য ছিল।”
রোহিত-দ্রাবিড় জমানায় ভারত কোনও ট্রফি জেতেনি। কিন্তু কোচ হিসাবে দ্রাবিড়ের অবদানের কথা ভুললেন না রোহিত। বলেছেন, “গোটা কেরিয়ারেই ওঁর দায়বদ্ধতা মনে রাখার মতো। কোচ হয়ে আসার পর আমি সেটাই শিখতে চেয়েছিলাম। বেশ ভাল ভাবেই পেরেছি। বিশ্বকাপের রুপো ছাড়া আমরা বেশির ভাগ বড় প্রতিযোগিতা এবং সিরিজ় জিতেছি। ওঁর সঙ্গে কাজ করার প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। দলকে কোন দিকে নিয়ে যাওয়া উচিত সেটা ঠিক করেছি।”
রোহিতের সংযোজন, “আমাদের মতামত উনি সহজেই মেনে নিয়েছেন। এটাই বড় পার্থক্য। সবার আগে উনিই এগিয়ে এসে বলতেন, ‘দলের এটা করা দরকার’। উনি আসার পর যেখানেই খেলেছি, নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”