বাবর আজ়ম। ছবি: পিটিআই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম অঘটনটি ঘটে গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান হেরে গিয়েছে আমেরিকার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ হেরে দলের স্পিনারদের কাঠগড়ায় তুলে দিলেন অধিনায়ক বাবর আজ়ম।
প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৫৯ রান করেছিল পাকিস্তান। বাবর ৪৩ বলে ৪৪ রান করেন। তাঁর মন্থর ইনিংস দলকে পাওয়ার প্লে-তে ডোবায়। ব্যাট করতে নেমে আমেরিকাও একই রান তোলে। ফলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় আমেরিকা।
ম্যাচ শেষে বাবর বলেন, “ব্যাট করার সময় প্রথম ৬ ওভারে আমরা বড় রান তুলতে পারিনি। একের পর এক উইকেট যায়। সেখানেই পিছিয়ে পড়ি আমরা। আমাদের জুটি গড়তে হত। বল হাতেও আমরা পাওয়ার প্লে-তে ভাল খেলতে পারিনি। আমাদের স্পিনারেরা মাঝের ওভারে উইকেট নিতে পারেনি। ফলে হারতে হল আমাদের।”
পাকিস্তান দলে চার জন পেসার ছিলেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি, মহম্মদ আমির, নাসিম শাহ এবং হ্যারিস রউফ দলে থাকলেও তাঁরা ম্যাচ জেতাতে ব্যর্থ। দলের স্পিন বিভাগ সামলানোর জন্য ছিলেন দুই অলরাউন্ডার শাদাব খান এবং ইফতিখর আহমেদ। তাঁরা দু’জন মিলে চার ওভার বল করেছেন। তাতে কোনও উইকেট নিতে পারেননি। দিয়েছেন ৩৭ রান। পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আমির, হ্যারিস এবং নাসিম।
পাক অধিনায়ক কৃতিত্ব দিয়েছেন আমেরিকা দলকেও। বাবর বলেন, “এই হার হজম করা কঠিন। আমেরিকাকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ওরা আমাদের থেকে বেশি ভাল খেলেছে। তিন বিভাগেই আমাদের হারিয়ে দিয়েছে ওরা। পিচে আর্দ্রতা ছিল। বল কোনওটা জোরে যাচ্ছিল, কোনওটা ধীরে। তবে পেশাদার হিসাবে সব পরিস্থিতির সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হয়।”
পাকিস্তানের পরের ম্যাচ ভারতের বিরুদ্ধে। রবিবার নিউ ইয়র্কে খেলবে দুই দল। সেই ম্যাচের আগে আমেরিকার বিরুদ্ধে হার চিন্তার কারণ বাবরদের জন্য।