উইকেট নেওয়ার পর উচ্ছ্বাস আফগান দলের। ছবি: এক্স।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হার দিয়ে শুরু নিউ জ়িল্যান্ডের। প্রথম বার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হারল তারা। যে ম্যাচ জিতে আপ্লুত আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। তিনি রেকর্ডও গড়লেন এই ম্যাচে। সেই সঙ্গে ম্যাচের সেরা রহমানুল্লা গুরবাজ় জানালেন জল পানের বিরতির মাঝে দল থেকে পাওয়া বার্তাই বদলে দেয় তাঁর খেলা।
শনিবার ভারতীয় সময় ভোর ৫টা থেকে শুরু হয়েছিল আফগানিস্তান বনাম নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচ। ঘুম থেকে উঠে খেলার স্কোর দেখতে গিয়ে চমকে উঠেছিলেন অনেকেই। আর সেই চমকে দেওয়ার কারিগর রশিদ বলছেন, “টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটা আমাদের অন্যতম সেরা জয়। উইকেটটা সহজ ছিল না। প্রথম ১০ ওভারে উইকেট হারাইনি আমরা। এমন একটা দলকে নেতৃত্ব দেওয়া গর্বের ব্যাপার। গুরবাজ় এবং ইব্রাহিম জাদরান দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে। আর কৃতিত্ব দিতে হবে আমাদের বোলিং বিভাগকেও। যে কোনও দলের পক্ষেই আমাদের বিরুদ্ধে ১৬০ রান তোলা কঠিন হবে।” অধিনায়ক হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা বোলিং করলেন রশিদ। প্রাক্তন কিউই অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেত্তোরির রেকর্ড ভেঙে দিলেন তিনি। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন রশিদ। এর আগে ভেত্তোরি ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।
জয়ের নায়ক আফগান ওপেনার গুরবাজ়। সদ্য আইপিএলজয়ী ব্যাটার নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫৬ বলে ৮০ রান করেন। তিনি বলেন, “যে কোনও দলকে হারানোর ক্ষমতা আছে আমাদের। এটা আমরা বিশ্বাস করি। প্রথম ইনিংসে এই পিচে ব্যাট করা সহজ ছিল না। কিন্তু জল পানের বিরতির সময় দলের তরফে একটা বার্তা পাঠানো হয়। আমার শুরুটা ভাল হয়নি। ইব্রাহিম বলছিল মাথা ঠান্ডা রাখতে। ক্রিকেটীয় শট খেলতে। মনে হয়েছিল ১৩০-১৪০ রান তুলতে পারলেই জেতা সম্ভব। বোলারদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে। নিউ জ়িল্যান্ডের মতো দলের বিরুদ্ধে জয় সত্যিই দারুণ ব্যাপার।”
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হার মেনে নেওয়া কঠিন নিউ জ়িল্যান্ডের পক্ষে। সেই দলের অধিনায়ক উইলিয়ামসন বলেন, “আফগান দলকে শুভেচ্ছা। সব বিভাগেই আমাদের হারিয়ে দিয়েছে ওরা। এই পিচে ১৫৯ রান করা সহজ ছিল না। আমরা ভাল খেলতে পারিনি। আমাদের দ্রুত পরের ম্যাচের আগে গুছিয়ে নিতে হবে। আমরা জুটি গড়তে পারিনি। ওরা খুব ভাল খেলেছে। তবে এই হার নিয়ে পড়ে থাকতে চাই না।”