উইকেট নেওয়ার পর উচ্ছ্বাস বাংলাদেশের। ছবি: এক্স।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১২৫ রান করে শ্রীলঙ্কা। মুস্তাফিজুরদের দাপটে বেশি রান করতে পারেনি তারা। বাংলাদেশ সেই রান তুলতে নেয় ১৯ ওভার। হাতে ছিল ২ উইকেট।
প্রথমে মনে করা হয়েছিল খুব সহজেই ম্যাচ জিতবে বাংলাদেশ। কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে ১২৫ রানে আটকে রাখলেও শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশের চিন্তা ছিল ব্যাটিং নিয়ে। শনিবার সকালেও দুই ওপেনার তানজিদ হাসান এবং সৌম্য সরকার রান পাননি। অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত করেন মাত্র ৭ রান। তবে লিটন দাস এবং তোহিদ হৃদয় মিলে দলকে ভরসা দেন। তাঁরা জুটিতে ৬৩ রান যোগ করেন।
প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা তোলে ১২৫ রান। ওপেনার পাথুম নিশঙ্ক করেন ৪৭ রান। ধনঞ্জয় ডি সিলভা করেন ২১ রান। বাকি ব্যাটারেরা তেমন রান পাননি। তিনটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান এবং রিশাদ হোসেন। ২ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। একটি উইকেট তানজিম হাসান শাকিবের।
১২৬ রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে খেলতে নামলেও ১৯ ওভার পর্যন্ত খেলতে হল বাংলাদেশকে। একের পর এক উইকেট হারায় তারা। শাকিব ১৪ বলে ৮ রান করেন। মাহমুদুল্লা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন। তিনিই ম্যাচ জেতালেন। তবে শেষ দিকে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। হারের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
রিশাদেরা শ্রীলঙ্কাকে কম রানে আটকে রাখতে না পারলে শনিবার জেতা কঠিন হত বাংলাদেশের জন্য। শ্রীলঙ্কার বোলারেরা ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন দলকে। ৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেট যায় ২৮ রানে। এর পরেই বাংলাদেশের হয়ে হাল ধরেন লিটন এবং হৃদয়। কিন্তু তাঁরা ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। ৯৯ রানের মধ্যে ৫ উইকেট চলে যায় বাংলাদেশের। এর পরেও একের পর উইকেট হারান শাকিবেরা। শ্রীলঙ্কার পেসার নুয়ান থুসারা ৪ উইকেট নেন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতান মাহমুদুল্লা।