বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশ বেছে নিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সোমবার এই দল বেছে নিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আনন্দবাজার অনলাইনের মতো আইসিসির দলেও জায়গা হয়নি বিরাট কোহলির।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলের ছ’জন ক্রিকেটার রয়েছেন আইসিসির দলে। আনন্দবাজার অনলাইনের বেছে নেওয়া দলেও ভারতের ছ’জন রয়েছেন।
আইসিসির বিশেষজ্ঞেরা পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশ বেছে নিয়েছেন। সেরা একাদশে জায়গা পাননি রানার্স দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও ক্রিকেটার। প্রথম বার কোনও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা আফগানিস্তানের তিন জন ক্রিকেটারও জায়গা করে নিয়েছেন। এ ছাড়া সুপার এইট পর্বে বিদায় নেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং অস্ট্রেলিয়ার এক জন করে জায়গা পেয়েছেন প্রতিযোগিতার সেরা দলে।
বিশ্ব ক্রিকেটের একাধিক বড় নামের জায়গা হয়নি দলে। তাঁদের অন্যতম ফাইনালে ৭৬ রানের ইনিংস খেলা বিরাট কোহলি। এ বার অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। রোহিত শর্মার দলের একাধিক ক্রিকেটার নজর কেড়েছেন ব্যাট বা বল হাতে। রোহিতের নেতৃত্বও প্রশংসিত হয়েছে। আইসিসির নির্বাচকেরা তাই দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সকে। তাঁদের নজর এড়ায়নি আফগানিস্তানের রশিদ খানদের পারফরম্যান্সও।
সেরা একাদশের অধিনায়ক হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে রোহিতকে। তিনি দলের অন্যতম ওপেনারও বটে। দ্বিতীয় ওপেনিং ব্যাটার হিসাবে জায়গা পেয়েছেন আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ়। ২৮১ রান করে তিনিই প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের নিকোলাস পুরান। ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। পাঁচ এবং ছয় নম্বরে দুই অলরাউন্ডার অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টোইনিস ও ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। সাত নম্বরে আর এক ভারতীয় অলরাউন্ডার অক্ষর পটেল। তিনি বাঁহাতি স্পিনার। জায়গা পেয়েছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক এবং লেগস্পিনার রশিদ খান। নয় নম্বরে যশপ্রীত বুমরা। ব্যাটিং অর্ডারের শেষ দু’টি জায়গায় প্রতিযোগিতার দুই সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ১০ এবং ১১ নম্বরে রয়েছেন যথাক্রমে আরশদীপ সিংহ এবং ফজ়লহক ফারুকি। দু’জনেই এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৭টি করে উইকেট নিয়েছেন।
রানার্স দক্ষিণ আফ্রিকার মতোই গত বারের চ্যাম্পিয়ন এবং এ বারের অন্যতম সেমিফাইনালিস্ট ইংল্যান্ডের কোনও ক্রিকেটার আইসিসির সেরা একাদশে সুযোগ পাননি। জায়গা হয়নি নিউ জ়িল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলা দেশগুলির ক্রিকেটারদেরও।
আইসিসির সেরা একাদশ: রোহিত (অধিনায়ক), গুরবাজ, পুরান, সূর্যকুমার, স্টোইনিস, হার্দিক, অক্ষর, রশিদ, বুমরা, আরশদীপ, ফারুকি।