ব্যাট ভেঙে গিয়েছে জাকের আলির। ছবি: পিটিআই।
মাত্র ৪ রানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরে যায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে হার বাংলাদেশের জন্য পরের পর্বে যাওয়ার রাস্তা কঠিন করে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের হারের নেপথ্যে রয়েছে ক্রিকেটের একটি নিয়ম। যা সোমবার রাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে গিয়েছে।
১৭তম ওভারে ব্যাট করছিলেন বাংলাদেশের মাহমুদুল্লা। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ওটনিল বার্টম্যানের বল তাঁর প্যাডে লেগে বাউন্ডারিতে চলে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারেরা আউটের আবেদন করেন। আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি এলবিডব্লিউ দেন। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন মাহমুদুল্লা। তাতে দেখা যায় তিনি আউট ছিলেন না। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত বদলান।
মাহমুদুল্লার উইকেটটি বেঁচে গেলেও চার রানটি আর পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। কারণ বল বাউন্ডারি পার করার আগেই আউটের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আম্পায়ার। ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই বল ডেড হয়ে যায়। ফলে মাহমুদুল্লার পায়ে লেগে বল বাউন্ডারি গেলেও ওই চার রান পায়নি বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ হেরে যায় ওই চার রানেই।
জেতার জন্য শেষ ৬ বলে বাংলাদেশের ১১ রান প্রয়োজন ছিল। বল করতে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজ। মাহমুদুল্লা এবং রিশাদ হোসেনকে সেই রান করতে দেননি তিনি। মহারাজের পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান মাহমুদুল্লা। তাতে বাংলাদেশের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশ চার রানে হারায় সমাজমাধ্যমে ওই ডেড বল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। কারণ ওই চার রান পেলে বাংলাদেশ ম্যাচটিকে সুপার ওভারে নিয়ে যেতে পারত। জেতার সুযোগ থাকত বাংলাদেশের কাছে।