মিচেল স্টার্ক। —ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া খেলায়নি মিচেল স্টার্ককে। তাঁর পরিবর্তে খেলানো হয় অ্যাশটন আগারকে। রশিদ খানদের কাছে হারতে হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্ত সমালোচনার মুখে পড়েছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড এই সিদ্ধান্তে ভুল দেখছেন না।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের জোরে বোলারকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, ‘‘পিচ এবং পরিবেশ দেখেই আগারকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্টার্কের থেকে আগার বেশি কার্যকর হবে মনে হয়েছিল আমাদের। মনে হয় না, সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।’’ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৪ ওভার বল করে আগার ১৭ রান দেন। কৃপণ বোলিং করলেও উইকেট পাননি তিনি। সিদ্ধান্তের সমর্থনে আগারের বোলিংয়ের কথাও উল্লেখ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ।
ম্যাকডোনাল্ড আরও বলেছেন, ‘‘স্টার্ককে বাদ দিয়ে খেলা সব সময়ই কঠিন সিদ্ধান্ত। আমরা হেরে গিয়েছি বলেই বিষয়টা বেশি চোখে পড়ছে। আমার মতে, এখানে স্টার্কের থেকে আগার অনেক বেশি কার্যকর। আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখানকার পিচে আট ওভারের বেশি স্পিনার ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল আমাদের। সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। জোরে বোলারদের তুলনায় স্পিনারদের বেশি সাহায্য করে এখানকার পিচ। আমাদের দলে ১৫ জন আছে। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে পরিকল্পনা করেই দল নির্বাচন করা হয়েছিল।’’
অস্ট্রেলিয়ার কোচ আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের উচিত দল নিয়ে নমনীয় থাকা। সব রকম বিকল্প কাজে লাগানো। অনেক সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়। খেলা শুরু আগে কে বলতে পারে, সিদ্ধান্ত সঠিক না ভুল? তা ছাড়া আগার যথেষ্ট ভাল বল করেছে। পিচকে দারুণ কাজে লাগিয়েছে। প্রথম দিকে ও কিন্তু আফগান ব্যাটারদের সমস্যা ফেলছিল। পাওয়ার প্লের মধ্যে ২ ওভারও ভাল করেছে। আমরা দ্রুত উইকেট তুলতে পারিনি, এটা দুর্ভাগ্য। সুযোগ কিন্তু তৈরি হয়েছিল। তা ছাড়া ফিল্ডার হিসাবেও আগার যথেষ্ট ভাল।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে আগে থেকে ধারণা নিয়ে ক্রিকেট খেলা যায় না বলেই মনে করেন অজি কোচ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এখানে আগে থেকে কিছু ধরে রাখা যায় না। নাটকীয় ভাবে আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। অনেক কিছুই হিসাবের সঙ্গে মিলছে না। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই।’’
আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে পড়ে না থেকে সামনে তাকাতে চান ম্যাকডোনাল্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে জিততেই হবে অস্ট্রেলিয়াকে। সে দিকে মন দিতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া শিবির।