দ্রোণাচার্যকে এ বার ‘রত্ন’ দিচ্ছে মোহনবাগান। প্রতি বছরের মতো ২৯ জুলাই বাগান দিবসে এই সম্মান তুলে দেওয়া হবে দেশের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ডিফেন্ডার সৈয়দ নইমুদ্দিনকে।
বুধবার কর্মসমিতির সভায় ক্লাবের সর্বোচ্চ সম্মান মোহনবাগান রত্নের জন্য বেছে নেওয়া হয় ফুটবলার এবং কোচ হিসেবে ছয় বছর ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত থাকা নইমকে। রাতে এ খবর পেয়ে আপ্লুত নইম বললেন, ‘‘গ্রেট সম্মান। মোহনবাগান বিরাট প্রতিষ্ঠান। দ্রোণাচার্য পাওয়ার মতোই গর্ব অনুভব করছি এই সম্মান পেয়ে।’’ ময়দানের তিন প্রধানে চুটিয়ে খেলা এবং কোচিং করানো নইমের বাগানে আসা ১৯৬৮-তে। সে বার খেলেন দু’ বছর। পরে আবার ফিরে এসেছেন ’৭৩-এ। সে বারও ছিলেন দু’ বছর। ’৭৪-এ ছিলেন বাগান অধিনায়ক। কোচিং করিয়েছেন ১৯৯২-’৯৪। কোচ হিসেবে ক্লাবকে মোট আটটি ট্রফি দিয়েছেন তিনি। নঈমের অবশ্য পরিসংখ্যান কিছুই মনে নেই। হাসতে হাসতে বলছিলেন, ‘‘সব টিমে খেলেছি। সবুজ-মেরুন জার্সিতেও অনেক ভাল স্মৃতি রয়েছে আমার। জিতেছি ট্রফিও।’’
সেই অর্থে বাগানের ঘরের ছেলে না হয়েও নইমের রত্ন প্রাপ্তির মতোই এ দিনের সভায় আরও একটি চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত হল। কলকাতা লিগে কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ক্লাবকে ফেডকাপ দেওয়া কোচ সঞ্জয় সেন। তাঁর জায়গায় সহকারী শঙ্করলাল চক্রবর্তীই কলকাতা লিগে কোচিং করাবেন টিমকে। সঞ্জয়ের সঙ্গে বাগানের চুক্তি হচ্ছে নয় মাসের। সেপ্টেম্বর থেকে মে পর্যন্ত। আই লিগ, ফেড কাপ এবং এএফসি-র জন্য। বাগান কোচ বললেন, ‘‘শঙ্কর কলকাতা লিগে কোচিং করাক, এটা আগেই বলেছিলাম কর্তাদের। ও আরও অভিজ্ঞ হলে আমাদের সুবিধে হবে। তা ছাড়া আমিও কিছু ব্যক্তিগত কাজে ওই সময়ে আটকে থাকব।’’
কলকাতা লিগ যে মোহনবাগান গুরুত্ব দিচ্ছে না, সেটা আরও এক বার প্রকট হল এ দিন কর্তাদের নেওয়া আরও একটি সিদ্ধান্তে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কলকাতা লিগের কোনও প্রদর্শনী ম্যাচ খেলবেন না। যার অর্থ ডার্বি এবং মিনি ডার্বি কোনওটাই খেলতেই চাইছেন না তাঁরা। কারণ হিসেবে তাঁরা দেখাচ্ছেন টিভি সত্ত্বের কোনও টাকা না পাওয়াকে। আইএফএ-র উপর চাপ সৃষ্টির এই কৌশল শেষ পর্যন্ত তাঁরা হয়তো ধরে রাখতে পারবেন না। কিন্তু সদস্য-সমর্থকদের কাছে একটা বার্তা দিয়ে রাখলেন বাগান কর্তারা, এই লিগের কোনও গুরুত্ব নেই ক্লাবের কাছে। এ দিনের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে বাগান দিবসে পুরস্কৃত হবেন সনি নর্ডি এবং জেজে। ক্রিকেটের দু’টি টুর্নামেন্ট বাকি থাকায় বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত করা যায়নি।
আর্জেন্টিনার ফুটবলার এ বার মুম্বইয়ে: লিওনেল মেসিরা কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানোর দিনেই আর্জেন্টিনার মাতিয়াস দেফাদেরিকোকে সই করাল মুম্বই সিটি এফসি। ২৬ বছরের এই উইঙ্গার মেসির দেশের জার্সিতে ইতিমধ্যেই খেলে ফেলেছেন। এমন কী দু’ ম্যাচে তাঁর একটি গোলও রয়েছে। যদিও সেই ম্যাচ ছিল প্রদর্শনী। মুম্বইয়ের সঙ্গে চুক্তির পর মাতিয়াস জানিয়েছেন, ‘‘আমি আইএসএলের কথা অনেক শুনেছি। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে মুম্বইয়ে আসার জন্য এখন অপেক্ষা করছি।’’ এ দিকে এফসি পুণে সিটিতে যোগ দিলেন ইস্টবেঙ্গলের রাহুল ভেকে।
মুম্বই এফসি ছাড়লেন খালিদ: শেষ পর্যন্ত মুম্বই এফসি-র সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানলেন খালিদ জামিল। প্রায় নয় বছর এই ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন তিনি। খালিদের কোচিংয়ে এ বছর আই লিগে ছয়ে শেষ করেছে মুম্বই।