স্বপ্না বর্মণ।—ফাইল চিত্র।
বহু দিন বাদে চোট সারিয়ে প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছেন স্বপ্না বর্মণ। এশিয়াডে সোনাজয়ী মেয়ে নামবেন রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিটে। তবে নিজের ইভেন্ট নয়, তিনি নামবেন জ্যাভলিন থ্রো-তে। স্বপ্নার কোচ সুভাষ সরকার বুধবার বললেন, ‘‘স্বপ্না এখনও সুস্থ নয়। প্রায় চার মাস হয়ে গেল কোনও প্রতিযোগিতায় নামেনি। সে জন্যই বলা যায় কিছুটা ট্রায়াল দিতেই নামাচ্ছি ওকে।’’ জাতীয় শিবিরে ডাক পেলেও দিল্লিতে যাননি জলপাইগুড়ির মেয়ে। সবে মাত্র অনুশীলন শুরু করেছেন সাইতে।
আজ, বৃহস্পতিবার থেকে যুবভারতীতে শুরু হচ্ছে রাজ্য অ্যাথলেটিক্স। ১১ অগস্ট পর্যন্ত চলবে প্রতিযোগিতা। স্বপ্না ছাড়াও নামী অ্যাথলিটদের মধ্যে আভা খাটুয়া, রাজশ্রী প্রসাদ, সফিকুল মণ্ডল, হিমশ্রী রায়, শশীভূষণ দে-রা নামবেন। ১০ টি বিভাগের ১৪৫ টি ইভেন্টে প্রায় বারোশো প্রতিযোগী অংশ নেবেন। সব চেয়ে বড় দল নামাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। ক্লাবের শতবর্ষ উপলক্ষে রাজ্যের সেরা অ্যাথলিটদের সই করিয়ে ১৩৮ জনের দল নামাচ্ছে লাল-হলুদ শিবির। মোহনবাগান নামাচ্ছে ২৬ জনের দল। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থার সচিব কমল মিত্র বললেন, ‘‘এ বার ডোপ পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকছে। নাডা থাকবে দায়িত্বে। সর্বভারতীয় ফেডারেশন ডোপ পরীক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য ইতিমধ্যেই ডাক্তার পাঠিয়ে দিয়েছে।’’ এই প্রতিযোগিতা থেকে ২৭-৩০ অগস্ট লখনউয়ে আন্তঃ রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিট ও অন্যান্য দল তৈরি করবে। এ দিকে হাওড়ার একটি বড় হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে রাজ্য সংস্থার। চোট পাওয়া এবং অসুস্থ অ্যাথলিটদের সাহায্য করবে এই হাসপাতালের কর্মীরা।
এমনিতে বাংলার বেশিরভাগ পদকজয়ী সফল অ্যাথলিটই অনুশীলন করেন সাইতে। যুবভারতী এবং সাই ছাড়া রাজ্যের কোথাও আধুনিক মানের ট্র্যাক নেই। নেই পরিকাঠামো। ফলে পাড়ার বা স্কুলের মাঠে স্থানীয় কোচেদের কোচিংয়ে এবং সাহায্যে গ্রামগঞ্জ থেকে উঠে আসেন খেলোয়াড়রা। তারাই নামেন রাজ্য মিটে বিভিন্ন দলের হয়ে। সেখান থেকে পছন্দ হলে সাইয়ের কোচেরা তাঁদের নিয়ে নেন। এ ভাবেই কপাল খুলে যায় স্বপ্না, লিলি দাস, সনিয়া বৈশ্যদের। রাজ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অবশ্য এ দিন জানানো হয়, সবর্ভারতীয় ফেডারেশন প্রতিভাবান খেলোয়াড় তুলে আনার জন্য যে আন্তঃ জেলা জাতীয় প্রতিযোগিতা করছে, সেখানে রাজ্যের পাঁচটি জেলাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, জেলাগুলিতে তো ভাল অ্যাথলিট হওয়ার পরিকাঠামোই নেই।