সুশীল কুমার। ফাইল ছবি
হেফাজতে রেখে সুশীল কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কিন্তু তদন্তে সহযোগিতা করছেন না দু’বারের অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগীর। তাঁর সঙ্গে দুষ্কৃতিদের যোগ থাকার কোনও কথাই স্বীকার করছেন না তিনি। জানা গিয়েছে, জেলের মধ্যেই তিনি নাকি খুনের হুমকি পাচ্ছেন।
ঘটনার পুনর্নিমাণ করতে মঙ্গলবার সুশীলকে ছত্রশাল স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মডেল টাউনে তাঁর ফ্ল্যাটেও যাওয়া হয়। কুখ্যাত দু্ষ্কৃতি নীরজ বাওয়ানার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু সুশীল কিছুতেই তা পুলিশের কাছে স্বীকার করছেন না। তাঁর বয়ানে অসঙ্গতিও লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। সুশীল জানিয়েছেন, কুস্তিগীরদের বিবাদ থামাতেই নাকি তিনি ঘটনার দিন ছত্রশাল স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন।
খুনের ঘটনায় জড়িতে সুশীলের চার সঙ্গীকে মঙ্গলবার রাতে ঘেওড়া রেলওয়ে ক্রসিং থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হল ভুপেন্দর, মোহিত, গুলাব এবং মনজিৎ। এরা কালা জাথেড়ি এবং নীরজ বাওয়ানার দলের সঙ্গে যুক্ত। প্রত্যেকেই ঘটনায় দিনের প্রতিটি মুহূর্ত এবং জড়িত থাকা ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করেছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুশীলের সঙ্গে এদেরকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে।
সুশীলের সঙ্গে দুষ্কৃতিদের যোগাযোগের সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। জানা গিয়েছে, এক দুষ্কৃতির থেকে বাঁচতে সুশীল হাত মিলিয়েছিলেন বিরোধী পক্ষের সঙ্গে। এতেই এক শ্রেণীর বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি। এমনকী জেলের মধ্যেও তাঁর প্রাণহানির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, মালয়েশিয়া থেকে দুষ্কর্মের কলকাঠি নাড়ে কালা জাথেড়ি। তার দলের সদস্য লরেন্স বিষ্ণোই একসময় বলিউড অভিনেতা সলমন খানকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল। পরে তাদের হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত তারা বিশেষ সেলে বন্দি।
এর মধ্যেই সুশীলের আইনজীবী বিএস জাখর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাঁর মক্কেলকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার দিন কোনও সিসিটিভিতে সুশীলকে দেখা নাকি দেখা যায়নি। সুশীলকে নিয়ে পুলিশের এত তৎপরতারও বিরোধিতা করেছেন জাখর।