সুশীল কুমার।
প্রায় রোজ নতুন করে সমস্যায় পড়ছেন সুশীল কুমার। এবার তাঁর বিরুদ্ধে মারধোরের অভিযোগ তুললেন এক দোকানের মালিক। বকেয়া টাকা চাওয়ার জন্যই তাঁকে অলিম্পিক্স পদকজয়ী এই কুস্তিগীর মারেন বলে অভিযোগ ওই দোকান মালিকের।
সতীশ গয়াল নামে ওই দোকানী বলেন, ছত্রসাল স্টেডিয়ামে রেশন সরবরাহ করা বাবদ তাঁর ৪ লক্ষ টাকা বকেয়া ছিল। সেই টাকা চাইতে গেলে সুশীল তাঁকে মারধোর করেন বলে অভিযোগ। সতীশের বক্তব্য, তিনি ১৮ বছর ধরে ছত্রসাল স্টেডিয়ামে রেশন সরবরাহ করে আসছেন। সুশীলের শ্বশুর সতপাল সিংহ যখন ছত্রসালের কোচ ছিলেন, সেই সময় থেকে সেখানে তাঁর যাতায়াত। গত বছর লকডাউনের সময় বীরেন্দ্র নামে এক কোচ সতীশের দোকান থেকে রেশন নেন। এরপর বীরেন্দ্র ছত্রসাল ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। তখন সতীশ নতুন কোচের কাছে বকেয়া ৪ লক্ষ টাকা চান।
সতীশের দাবি, অশোক নামে একজন তাঁকে স্টেডিয়ামে যাবতীয় বিল নিয়ে আসতে বলেন। পরের দিন ধর্মা নামে একজন ফোন করে সতীশকে বলেন, সুশীলের সামনে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। সতীশ জানান, তিনি সুশীলের সঙ্গে দেখা করে ৪ লক্ষ টাকা কার্যত ভিক্ষা চান। বলেন, এই টাকা না পেলে তিনি এবং তাঁর দোকান শেষ হয়ে যাবে। তখন সুশীল নাকি তাঁকে বলেন, ‘‘ওঃ, তুমি মরবে বলছ? তাহলে মরো।’’ এরপর সুশীল এবং আরও কয়েকজন নাকি সতীশকে ব্যাপক মারধোর করেন।
সতীশের বক্তব্য, তিনি এই ঘটনার পর এক সপ্তাহ নিজেকে ঘরবন্দি রেখেছিলেন। তাঁর জীবন সংশয় ছিল। ৮ সেপ্টেম্বর তিনি থানায় এফআইআর করেন। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন সতীশ।
এখন থানা থেকে তাঁকে ফোন করা হয়েছে জানিয়ে সতীশ বলেন, ‘‘পুলিশ এখন আমাকে বলছে, এই বার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুশীলের সঙ্গী অজয়ও লকডাউনের সময় আমার থেকে ২৫ হাজার টাকার রেশন নিয়েছিলেন। সেই টাকাও ফেরৎ পাইনি। দামী গাড়ি দেখে ভাবতাম, ওঁরা পরিশ্রম করে এগুলো অর্জন করেছেন। কিন্তু জানতাম না ওঁরা এইসব অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত।’’