রনি ব্রানশোয়াইক
তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। খোদ ইন্টারপোলের লাল তালিকাভুক্ত তিনি। সুরিনামের সেই ভাইস-প্রেসিডেন্ট রনি ব্রানশোয়াইক আচমকাই অবতীর্ণ হলেন ফুটবলার হিসেবে। নিজের মালিকানাধীন ক্লাব ইন্টার মোয়েঙ্গাটাপোর হয়ে কনকাকাফ লিগের ম্যাচে নামলেন তিনি। দলে খেল হাফ ডজন গোল।
ড্রাগ পাচার সংক্রান্ত মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই ইন্টারপোলের তালিকায় রয়েছেন ৬০ বছর বয়সী রনি। গত বছর জুলাই মাসে সুরিনামের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। তার আগে সে দেশের বিদ্রোহী নেতা ছিলেন। তৈরি করেছেন সুরিনামিজ লিবারেশন আর্মি নামে সশস্ত্র সৈন্যদল, যারা পরিচিত ‘জাঙ্গল কমান্ডো’ নামে। আফ্রিকার অভিবাসীদের হয়ে লড়াই করেছেন সারাজীবন। ১৯৮৬ থেকে টানা ছ’বছর গৃহযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে জড়িয়ে ছিলেন রনি। তারপর থেকে দেশের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে তাঁর।
ফুটবল মাঠেও কীর্তির সংখ্যা কম নয়। ২০০৫-এ এক ফুটবলারকে বন্দুক হাতে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাসিত হলেও প্রমাণের অভাবে ছাড়া পান। ২০১২ সালে রেফারিকে মাঠেই গালিগালাজ করেছিলেন। তখনও নির্বাসিত হন। তাঁর দল ইন্টার যে স্টেডিয়ামে খেলে, সেটিও তাঁরই নামে।
সম্প্রতি কনকাকাফের ম্যাচে তিনি নিজেই নিজেকে দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করেন। ৫৪ মিনিট মাঠে ছিলেন। বিপক্ষ দল অলিম্পিয়া ৬ গোল দেয় রনির দল ইন্টারকে। অলিম্পিয়ার খেলায় রনি এতটাই খুশি হন যে, পরে ড্রেসিংরুমে গিয়ে সেই দলের ফুটবলারদের প্রত্যেকের হাতে ১০০ ডলারের নোট গুঁজে দিয়ে আসেন। তাঁর এই বিভিন্ন ঘটনার ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।