২০১৮ সালে মেলবোর্ন টেস্টে অভিষেক হয় মায়াঙ্ক আগরওয়ালের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ইনিংসেই মিচেল স্টার্ক, জশ হেজলউডদের বিরুদ্ধে ৭৬ রান করে আবির্ভাব ঘটে কর্নাটকের তরুণ ওপেনারের। সেই সময় মুরলী বিজয়ের ছন্দ পড়তে শুরু করেছে। ওপেনিংয়ে রান পাচ্ছিলেন না কে এল রাহুলও। মায়াঙ্ক সে ম্যাচে রান করে দেওয়ায় ওপেনিং সমস্যা মিটে যায় ভারতের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সে ভাবে সফল হতে না পারলেও, দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি সেঞ্চুরি ও একটি ডাবল সেঞ্চুরি আসে মায়াঙ্কের ব্যাট থেকে। তিনি দলে আসার পর থেকে মুরলী বিজয়ের নাম নিয়েও আলোচনা হওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওপেনার হিসেবে।
অভিষেকের দু'বছর পরে সেই অস্ট্রেলিয়া সফরে এসে মায়াঙ্ক একেবারেই ছন্দহীন। শেষ চার ইনিংসে তাঁর মোট রান ৩১। গড় ৭। অ্যাডিলেডে প্রথম ম্যাচে তাঁর রান ১৭ ও ৯। মেলবোর্নে করেন ০ ও ৫। অভিষেক সিরিজে এই পরিবেশে দুরন্ত পারফর্ম করা মায়াঙ্ক কেন রান পাচ্ছেন না?
কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনীল গাওস্কর বেশ কিছু গলদ তুলে ধরলেন মায়াঙ্কের টেকনিকে। এক অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমে গাওস্কর জানিয়েছেন, স্টান্স পরিবর্তন করেই সমস্যায় পড়ছেন মায়াঙ্ক। গত বার যে গলদ দেখা যায়নি। এ বার থেকেই শুরু হয় এই সমস্যা। গাওস্করের কথায়, "স্টান্স পরিবর্তন করেছে মায়াঙ্ক। ওর বর্তমান স্টান্স ওকে ব্যাকফুটের বল খেলতে সমস্যায় ফেলছে। অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে রান করা সম্ভব নয়। ভিতরের দিকে সুইং করা বলেও তাই সমস্যায় পড়ছে ও।"
প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক আরও খুঁত বার করেন মায়াঙ্কের স্টান্সে। বলেন, "মায়াঙ্কের দু'পায়ের ফাঁকে অতিরিক্ত জায়গা তৈরি হয়। সেটাই ওর সব চেয়ে বেশি সমস্যার কারণ। এ ভাবে ব্যাট করলে ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি।" এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মায়াঙ্কের কী করা উচিত, সেটাও বলে গেলেন গাওস্কর। তাঁর পরামর্শ, "ভিতরের দিকে সুইং করে আসা বলের ক্ষেত্রে নিজের স্টান্স কিছুটা খুলে দিতে পারে মায়াঙ্ক। অর্থাৎ বোলারের দিকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে ও। তাতে ইনসুইং সামলাতে সমস্যা হবে না। শেষ পর্যন্ত বলটা দেখার সুযোগ পাবে। ব্যাট ও পায়ের মধ্যে ফাঁকও তৈরি হবে না।"
কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের এই পরামর্শে মায়াঙ্ক উপকৃত হন কি না, তা সময়ই বলবে।