একেবারে বলিউডি সিনেমার কায়দায় অপহৃত হয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল। ফাইল চিত্র
এত দিন চুপ ছিলেন। তবে এ বার অপহরণ কান্ড নিয়ে মুখ খুললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন লেগ স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল। বান্ধবী মারিয়া ও’মিঘারের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করছেন শেন ওয়ার্নের প্রাক্তন সতীর্থ। এই ঘটনার জন্য তাঁর পরিবাররে উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
ম্যাকগিল বলেন, “আমি কোনও ভুল করিনি। মারিয়ারও কোন দোষ নেই। ক্রিকেট ছাড়ার পর থেকে আমি নিজের ব্যবসা ও পরিবার নিয়ে থাকি। কোনওদিন কারও সঙ্গে ঝামেলা করিনি। তবুও এমন চরম অপমানিত হতে হল। গত কয়েক মাস আমার ও পরিবার কোন মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি সেটা শুধু আমরাই জানি। ভাগ্যিস পুলিশ ওদের গ্রেপ্তার করেছে। না হলে আমাদের সমস্যা আরও বাড়ত।”
ঘটনাটি ১৪ এপ্রিলের। সে দিন একেবারে বলিউডি সিনেমার কায়দায় সিডনির বাড়ি থেকে ম্যাকগিলকে অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর তাঁকে শহরের সম্পূর্ণ অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রচণ্ড মারধোর করার পাশাপাশি,বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখানোও হয়েছিল। তবে সেই ঘটনার এক ঘণ্টার পর তাঁকে ছেড়েও দিয়েছিল দুষ্কৃতিরা। কিন্তু পুলিশের হাত থেকে রেহাই পায়নি। অপহরণের দায়ে পুলিশ গ্রেপ্তার তাঁর বান্ধবীর ভাই-সহ আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৪ এপ্রিল রাত আটটা নাগাদ এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলা হয় ম্যাকগিলের। তিনি ছিলেন মারিনো সোতিরোপৌলুস। সম্পর্কে যিনি ম্যাকগিলের বান্ধবী মারিয়ার ভাই। নিউট্রাল বে-তে অ্যারিস্টটল নামে একটি রেস্তোরাঁর মালিক মারিনো। সেই রেস্তোরাঁতেই ম্যাকগিল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন।
তবে ১৪ এপ্রিল সেই ঘটনা ঘটলেও ২০ এপ্রিল গোটা ব্যপারটা পুলিশকে জানান ম্যাকগিল। পুলিশ জানিয়েছিল, ম্যাকগিলের দেহে কোনও আঘাত না থাকলেও, ভয়ের কারণেই তিনি এত দেরিতে রিপোর্ট করেছিলেন। সেই কান্ডের দুই মাস পরে প্রচার মাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন ওয়ার্নের এই প্রাক্তন সতীর্থ।
১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪৪টি টেস্ট খেলেছেন ম্যাকগিল। উইকেট নিয়েছেন ২০৮টি। ওয়ার্নের সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু ম্যাচে তিনি জিতিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়াকে।