সিডনিতে শুক্রবার প্রথম রান করার পর জনতার উচ্ছ্বাসে হাত তুলে সাড়া দিচ্ছেন স্টিভ স্মিথ। ছবি: এএফপি।
প্রথম রান করতে লাগল ৩৯ বল! হ্যাঁ, সাড়ে ছয় ওভার। তার মধ্যে কেটে গেল যন্ত্রণাকর ৪৬ মিনিট। সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথমদিন স্টিভ স্মিথের এই মন্থর শুরু নজর কাড়ল ক্রিকেটমহলের।
টেস্ট কেরিয়ারে প্রথম রান করতে এর আগে কখনও এত বল খেলেননি তিনি। কখনও এত মিনিটও লাগেনি স্মিথের। ২০১৪ সালে মেলবোর্নে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম রান করতে ১৮ বল লেগেছিল স্মিথের। সেই ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ১৯২ রানে থেমেছিলেন তিনি। শুক্রবার অবশ্য অত লম্বা খেলেননি। ৬৩ রানে আউট হয়ে যান তিনি।
প্রথম দিনের শেষে মার্নাস লাবুশানের ব্যাটে ভর দিয়ে বড় রানের পথে অস্ট্রেলিয়া। লাবুশানে অপরাজিত রয়েছেন ১৩০ রানে। সঙ্গে ম্যাথু ওয়েড (২২)। জো বার্নস (১৮), ডেভিড ওয়ার্নার (৪৫) ও স্মিথ ফিরে গিয়েছেন ড্রেসিংরুমে। কিউয়ি বোলারদের মধ্যে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমি সফলতম (২-৬৩)।
তবে লাবুশানের সেঞ্চুরির দিনেও আলোচনায় উঠে আসছে স্মিথের প্রথম রানে পৌঁছনোর প্রাণপণ চেষ্টা। ১৯৯১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ডেভিড বুনের পর কোনও অজি ব্যাটসম্যান টেস্টে খাতা খুলতে এত সময় নেননি। শেষ পর্যন্ত স্মিথ যখন নীল ওয়াগনারের বলে এক রান নেন, তখন সিডনির গ্যালারি জুড়ে হাততালির আওয়াজ ওঠে। স্মিথও হাত তুলে ক্রিকেটপ্রেমীদের উচ্ছ্বাসকে মর্যাদা দেন। বোলার ওয়াগনার পর্যন্ত হাসি মুখে পিঠ চাপড়ে দেন তাঁর।
তবে স্মিথের ব্যাটিং কিন্তু অজি শিবিরে স্বস্তি নয়, উদ্বেগ আনছে। ওয়াগনারের বিরুদ্ধে একেবারেই স্বস্তিতে দেখায়নি তাঁকে। এই সিরিজে চার বার ওয়াগনারের বলে আউট হয়েছেন তিনি। এদিন তা হতে চাননি একেবারেই। অ্যালান বর্ডার, মাইকেল ভনের মতো বিশেষজ্ঞদের মনে হয়েছে, স্মিথের মানসিকতাতেই গলদ ছিল। তিনি নেমেছিলেন কোনও ভাবেই ওয়াগনারকে উইকেট না দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। বলের গুণাগুণ দেখে তিনি খেলছেন না।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও স্মিথের মন্থর ব্যাটিং নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কারও মতে, পাঁচদিনের টেস্ট চালু রাখার জন্যই স্মিথের এহেন ব্যাটিং। কেউ কেউ আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে রসিকতাও শুরু করেছেন স্মিথকে নিয়ে।