ভরসা: সুনীলদের কোচ থাকবেন স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনই।
জল্পনার অবসান। স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের হাতেই থাকছে ভারতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব। এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে মায়ানমারের বিরুদ্ধে ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগেই স্পষ্ট করে দিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস।
জাতীয় দলের বেশ কয়েক জন সিনিয়র ফুটবলার সচিবের কাছে কনস্ট্যান্টাইনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই জাতীয় কোচের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। আগামী বছরের মার্চ মাসে কনস্ট্যান্টাইনের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে ফেডারেশনের। মনে করা হচ্ছিল, চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হবে না। কিন্তু ফেডারেশন সচিব সোমবার বলেছেন, ‘‘প্রশ্নই নেই কোচকে সরানোর। কনস্ট্যান্টাইন কোচ হিসেবে সফল। দারুণ ফল করেছে ভারতীয় দল।’’
সিনিয়র ফুটবলারদের আপত্তি সত্ত্বেও কনস্ট্যান্টাইনের উপর আস্থার কারণ কী? প্রথমত, ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংসে কনস্ট্যান্টাইনের অবিশ্বাস্য সাফল্য। তাঁর কোচিংয়ে কুড়ি বছর পরে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৭৩ থেকে প্রথম একশোটি দেশের মধ্যে জায়গা করে নেয় ভারতীয় দল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে ভারত। ২০১৯ এএফসি কাপের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করেছেন সুনীল ছেত্রীরা। এখানেই শেষ নয়। টানা এগারোটা ম্যাচে অপরাজিত ভারত।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে কনস্ট্যান্টাইনকে কোচের পদে রেখে দেওয়ার দ্বিতীয় কারণ, ফেডারেশনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি। সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ পেলেও স্বস্তি ফেরেনি। প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচক এস ওয়াই কুরেশি ও প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়কে ফেডারেশনের নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিয়োগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে কয়েক জন সিনিয়র ফুটবলারের দাবি মেনে কনস্ট্যান্টাইনের মতো সফল কোচকে সরালে বিতর্ক আরও বাড়ত। এই কারণেই কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। কনস্ট্যান্টাইনের ভাবনায় অবশ্য এই মুহূর্তে শুধুই মায়ানমার। ভারতীয় দলের কোচ বলেছেন, ‘‘এই ম্যাচটা হচ্ছে এএফসি কাপের প্রস্তুতির প্রথম ধাপ। আমরা কতটা তৈরি, সেটা দেখে নিতে চাই এই ম্যাচে।’’
মায়ানমার কোচ জার্ড জাইসে মুগ্ধ সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি সুনীলকে মায়ানমারের পাসপোর্ট দিতে চাই।’’