স্টেফানোস চিচিপাস। —ফাইল চিত্র
মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন স্টেফানোস চিচিপাস। জলে ডুবে মারা যেতে পারতেন তিনি। বাবার জন্যই সে বার প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন চিচিপাস। ২২ বছরের এই গ্রিস টেনিস তারকা এ বারের ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন। নোভাক জোকোভিচের কাছে হারতে হলেও তাঁর লড়াই মন জিতে নিয়েছে টেনিস বিশ্বের।
২০১৫ সালে এক বন্ধুর সঙ্গে সাঁতার কাটতে গিয়েছিলেন চিচিপাস। কিন্তু জলের স্রোত কতটা, আন্দাজ করতে পারেননি তাঁরা। ডুবে যাচ্ছিলেন দু’জনেই। বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপ দেন চিচিপাসের বাবা আপোস্টোলোস। চিচিপাস এবং তাঁর বন্ধুকে উদ্ধার করেন তিনি। চিচিপাস বলেন, “শ্বাস নিতে পারছিলাম না। ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম জলের মধ্যে। বুঝতে পারছিলাম না কী হবে। আমার বাবা দেখতে পেয়ে জলে নামে। সাঁতার কেটে আমাদের কাছে এসে পারের দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। বাবা না বাঁচালে কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো মরে যেতাম।”
তবে সেই ঘটনাই পাল্টে দিয়েছিল চিচিপাসকে। তিনি বলেন, “সেই দিন থেকে আমার কাছে জীবনের মানে বদলে গিয়েছে। মানসিক ভাবেও অনেকটা বদলে গিয়েছি আমি।” জোকোভিচের কাছে হারলেও ফাইনালে ওঠার পথে ড্যানিল মেদভেদেভ এবং অ্যালেক্সান্ডার জেরেভের মতো টেনিস তারকাকে হারিয়েছিলেন চিচিপাস। ফাইনালে খুব সহজে জমি ছেড়ে দেননি জোকোভিচকেও। প্রথম দুটো সেট জিতে নিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য হার মানতে হয় চিচিপাসকে। টেনিস কোর্টে এই হার না মানা মানসিকতাটাই হয়তো তৈরি করে দিয়েছিল ২০১৫ সালের সেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা।