নোভাক জোকোভিচকে আগেই হারিয়েছেন, পৌঁছে গিয়েছেন এ বার রজার্স কাপের ফাইনালে। কিন্তু খেতাবি যুদ্ধে তিনি কি ফের চমক দেখাতে পারবেন রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে? গ্রিসের ১৯ বছর বয়সি উঠতি তারকা স্তেফানোস তিতিপাসকে ঘিরে এ রকমই সব প্রশ্ন ঘুরছে টরন্টোয়।
নাদাল সেমিফাইনালে ৭-৬ (৭-৩), ৬-৪-এ ক্যারেন কাশানভকে হারিয়ে তাঁর ১১৬ নম্বর এটিপি ফাইনালে উঠেছেন। তিতিপাস অন্য সেমিফাইনালে হারান উইম্বলডন ফাইনালিস্ট কেভিন অ্যান্ডারসনকে। ফল ৬-৭, ৬-৪, ৭-৬। স্প্যানিশ তারকা যে রকম ছন্দে আছেন, অনেকেই মনে করছেন তিনি ফাইনালে তিতিপাসের জন্মদিনের পার্টি নষ্ট করতে পারেন। এর আগেও এপ্রিলে বার্সেলোনায় তিতিপাসকে ফাইনালে হারিয়ে দিয়েছিলেন। নাদালের এ মরসুমে জয়-হারের রেকর্ড ৩৯-৩। স্থানীয় সময়ে প্রায় মাঝরাতে সেমিফাইনাল জেতার পরে নাদাল বলে দিয়েছেন, ‘‘এই ম্যাচটা জেতা খুব দরকার ছিল। ভীষণ ভাবে চেয়েছিলাম টরন্টোয় ফাইনালে উঠতে। প্রতি দিন আমি ঘুম থেকে উঠে নিজেকে আরও উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতি দিনই উন্নতি করার জায়গা থাকে। যত দিন সম্ভব আমি টেনিস খেলে যেতে চাই।’’
আর তিতিপাস বলছেন, ‘‘আমি রজার, রাফা, নোভাক— সব বড় বড় সার্ভিস করা খেলোয়াড়দের থেকে অনেক কিছু শিখছি।’’ ফাইনালে ওঠার পথে রজার ফেডেরারের ভক্ত তিতিপাস হারিয়েছেন জোকোভিচ ছাড়াও বিশ্বের প্রথম দশে থাকা তিন জন খেলোয়াড়কে।