প্রশিক্ষক: পঞ্জাবের নেটে বল হাতে নেমে পড়েছেন কুম্বলে। টুইটার
কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হেড কোচ তিনি। আইপিএল শুরু হওয়ার ২১ দিন আগে শুরু হয়েছে তাঁর দলের প্রস্তুতি। দুবাইয়ে অতিরিক্ত গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য স্পিনাররাই বেশি সুবিধা পান। তাই এখন থেকেই দলের স্পিনারদের নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে কুম্বলের বিশেষ ক্লাস।
কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের দলের সঙ্গেই বিশেষ ভাবে চলছে কুম্বলের স্পিন প্রশিক্ষণ। সদ্য ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে চার উইকেট নেওয়া লেগস্পিনার রবি বিষ্ণোই কুম্বলের কাছেই স্পিনের পাঠ নিচ্ছেন। অফস্পিনার কৃষ্ণাপ্পা গৌতমও আছেন কুম্বলের ক্লাসে। তাঁদের নিয়েই চলছে স্পিনারদের প্রস্তুতি।
কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হেড কোচ কুম্বলে নাকি নিজেই নেটে বল করছেন প্রত্যেক দিন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোন জায়গায় বল ফেলে সফল হওয়া যায়, কোথায় বল করলে ব্যাটসম্যানের রান বার করতে সমস্যা হয়, সব কিছুই শিখিয়ে দিচ্ছেন কিংবদন্তি। আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতায় ৪২ ম্যাচ খেলে ৪৫টি উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। সেই অভিজ্ঞতাই বিলিয়ে দিচ্ছেন ছাত্রদের মধ্যে।
কুম্বলে যে নেটে বল করছেন, সেই তথ্য আসে আনন্দবাজারের হাতে। স্কোয়াড বোলার সায়ন ঘোষ তা স্বীকারও করে নেন। দুবাই থেকে আনন্দবাজারকে সায়ন বলছিলেন, ‘‘শেষ চার দিনই নেটে বল করছেন কুম্বলে স্যর। পেসারদেরও অনেক কিছু বুঝিয়েছেন। কিন্তু স্পিনারদের নিয়ে আলাদা করে নেটে সময় দিয়েছেন। রবির মতো তরুণ লেগস্পিনার আমাদের দলে রয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দুরন্ত বল করে নজর কেড়েছে ও। কী করে স্পিনারদের আরও বৈচিত্র বাড়ানো যায়, সে সব
নিয়ে কাজ চলছে।’’
কুম্বলের এই মনোভাব দেখে অনুপ্রাণিত সায়নরা। বাংলার পেসার বলে দিলেন, ‘‘টেস্টে ৬১৯ উইকেট পাওয়া কেউ যখন তোমার সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশবে, অন্তত তাঁর জন্য ভাল কিছু করার চিন্তা মাথায় আসবে তোমার। আমারও সে রকমই মনে হয়েছে। যদিও আইপিএল খেলছি না, তবুও স্কোয়াড বোলার হিসেবে যদি রাহুল, করুণ নায়ারদের প্র্যাক্টিস দিতে পারি, তাতে খারাপ কী? বাধ্য ছাত্রের মতো অনুশীলনে সেটা করার চেষ্টা করছি। আইপিএল শেষ হলেই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি হওয়ার কথা। তার জন্য আদর্শ প্রস্তুতি পাচ্ছি এখানে।’’ কলকাতা নাইট রাইডার্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস দলে ছিলেন সায়ন। স্লিঙ্গিং অ্যাকশনের জন্য, তাঁর নামকরণ হয় স্লিঙ্গা সায়ন। পঞ্জাব শিবিরে খবর, লাসিথ মালিঙ্গাকে সামলানোর আদর্শ প্রস্তুতি পাওয়া যাবে বাংলার এই পেসারকে খেলেই। কারণ, শ্রীলঙ্কার তারকার সঙ্গে তাঁর ডেলিভারি কিছুটা হলেও মেলে। সায়ন যদিও বলছিলেন, ‘‘সে রকম কিছু যদিও আমি শুনিনি। তবে আমাকে প্র্যাক্টিসে বেশিক্ষণ বল করানো হয়।’’
চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরে করোনা হানার পরে আতঙ্ক তৈরি হয় পঞ্জাব শিবিরেও। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শিবিরে দু’জন ক্রিকেটার-সহ সাপোর্ট স্টাফের রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসায় সতর্কতা বেড়েছে পঞ্জাব শিবিরেও। সায়নের কথায়, ‘‘আমরাও বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। শিবিরে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ সাবধানতা অবলম্বন না করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। এমনিতেও আমরা নিজেরাই সতর্ক। এমন কিছু করব না যাতে অন্যরা বিপদে পড়ে।’’