পিচটা ভাল মনে হলে হার্দিককে খেলাও বিরাট

ভারত আজ ঘরের মাঠে আরও একটা টেস্ট সিরিজ শুরু করছে। আর অন্তত আমার মতে ফেভারিট হিসেবেই। পাঁচ টেস্টের সিরিজ শুধু স্কিলেরই পরীক্ষা নেবে না, একইসঙ্গে সফরকারী টিমের মানসিকতারও একটা পরীক্ষা এই লম্বা সিরিজটা।

Advertisement

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৬ ০৪:২০
Share:

ভারত আজ ঘরের মাঠে আরও একটা টেস্ট সিরিজ শুরু করছে। আর অন্তত আমার মতে ফেভারিট হিসেবেই। পাঁচ টেস্টের সিরিজ শুধু স্কিলেরই পরীক্ষা নেবে না, একইসঙ্গে সফরকারী টিমের মানসিকতারও একটা পরীক্ষা এই লম্বা সিরিজটা। কোনও দেশে পাঁচ দিনের পাঁচটা ম্যাচ খেলার জন্য থাকা এবং প্রতিটা টেস্টে তুখোড় লড়াই দেওয়াটা আগামী এক-দেড় মাস ইংল্যান্ডের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

সাম্প্রতিককালে ভারতের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের টেস্ট রেকর্ড খুব ভাল। আর তাই প্রত্যেকের প্রশ্ন, সেটা ভারতীয় দলের উপর এই সিরিজেও চাপ হবে কি না? আমার উত্তর ‘না’। আমি মনে করি, গত দশ বছরের মধ্যে এই ইংল্যান্ড দলটার ব্যাটিং এবং স্পিন বোলিং বিভাগ সবচেয়ে দুর্বল। ২০১২ সিরিজে ওদের টিমে স্পিনার ছিল গ্রেম সোয়ান আর মন্টি পানেসর। এবং সিরিজের ফলাফলের পিছনে ওই দুই শীর্ষ মানের স্পিনারের বিরাট ভূমিকা ছিল। সে সময় জিমি অ্যান্ডারসন ছিল ফর্মের তুঙ্গে। এ বার যে অ্যান্ডারসন এসেছে, সে স্রেফ তার ছায়া।

কিন্তু তা বলে ইংল্যান্ডের এ বারের পেস আক্রমণকে খাটো চোখে দেখার কোনও রাস্তা নেই। কারণ আমার বিশ্বাস স্টুয়ার্ট ব্রড, যে গত বারের সফর মিস করেছিল, স্টিভ ফিন আর ক্রিস ওকস আমাদের দেশে মরসুমের এই সময়ের কন্ডিশনে ভাল বোলিং করবে। আসল পরীক্ষাটা ইংল্যান্ডের স্পিন বিভাগের। ভারতের এই কন্ডিশনে মইন আলির মধ্যে কি ইংল্যান্ডের প্রধান স্পিনার হয়ে ওঠার মতো মালমশলা আছে? ভারতীয় ব্যাটিংকে চাপে ফেলার মতো সাহায্য কি মইন অন্য প্রান্ত থেকে পাবে? তবে ভারতের বিরুদ্ধে মইনের রেকর্ড ভাল, যেটা ওকে প্রচুর আত্মবিশ্বাস দিতে পারে।

Advertisement

ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়েরও পরীক্ষা নেবে এই সিরিজ। ওরা কেভিন পিটারসেন অথবা ইয়ান বেলের অভাব টের পেতে পারে। আর সেই অবস্থায় অ্যালিস্টার কুক, জো রুট এবং জস বাটলারের জ্বলে ওঠাটা খুব দরকার। আমার মতে ভারত সফরে বাটলার ইংল্যান্ড দলে অপরিহার্য। ও খুব কাজের ব্যাটসম্যান, আক্রমণাত্মক খেলে। ভারতীয় স্পিনারদের উপর চাপ তৈরি করবে।

ভারতের কিছু চোটআঘাত সমস্যা আছে। কেএল রাহুল আর রোহিত শর্মাকে এই সিরিজে পাওয়া যাবে না। তবু আমি মনে করি এই কন্ডিশনে খেলতে নতুন ছেলেরা উপভোগ করবে। প্রশ্ন হল, রাজকোটে আজ ভারতের কম্বিনেশন কী হবে? আমার মনে হচ্ছে, প্রথম টেস্টে ভারত চার বোলার— দুই পেসার, দুই স্পিনারে খেলবে। যদিও অমিত মিশ্রকে প্রথম এগারোর বাইরে রাখাটা খুব কঠিন হবে। পরের তর্কের বিষয়টা হল হার্দিক পাণ্ড্য। আমার মতে ওর সুযোগ পাওয়াটা নির্ভর করবে পিচের চরিত্রের উপর। যদি ভাল উইকেট হয়, তা হলে ভারত হয়তো করুণ নায়ারকে ড্রেসিংরুমে রেখে হার্দিককে এক জন বাড়তি বোলার হিসেবে খেলাবে।

তবে ছেলেটাকে গভীর সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার আইডিয়াটা আমি মনে করি খুব একটা খারাপ হবে না কিন্তু!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement