সৌরভের কথা শোনেননি সহবাগ।
অধিনায়ক হিসেবে তাঁর ক্ষুরধার মস্তিষ্কের কথা সবাই জানেন। কিন্তু নেতৃত্ব দিলেও দলের ক্রিকেটারদের উপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দিতেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বরং, তাঁদের নিজেদের মতো করে মেলে ধরতে দিতেন। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে বীরেন্দ্র সহবাগের একটি ঘটনা উল্লেখ করে সৌরভ জানিয়েছেন, কী ভাবে সতীর্থের থেকে নতুন করে অধিনায়কত্ব শিখেছিলেন তিনি।
সৌরভের কথায় উঠে এসেছে ২০০২-এর ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালের কথা। বলেছেন, “আমরা ফাইনালে ৩২৫ রান তাড়া করছিলাম। ওপেন করতে নামার আগেই একটু হতাশ ছিলাম। তবু সহবাগকে বলেছিলাম, আমরাই জিতব। আমাদের শুরুটাও ভাল হয়েছিল (১২ ওভারে ৮২)। তখন সহবাগকে গিয়ে বলেছিলাম, নতুন বোলারদের তো খেলেই দিয়েছি। ও যেন এ বার উইকেটে টিকে থাকে এবং খুচরো রান নেয়।”
কিন্তু অধিনায়কের কথা শোনেননি সহবাগ। সৌরভ বলেছেন, “যখন রনি ইরানি প্রথম ওভার করতে এল তখন প্রথম বলেই চার মারল সহবাগ। ওর কাছে গিয়ে বললাম, চার মারা তো হয়ে গিয়েছে। এ বার খুচরো রান নাও। সহবাগ মাথা নাড়ল। পরের বল এবং তার পরের বলে আবার চার মারল। আমি খুব রেগে গিয়েছিলাম। পঞ্চম বলে ফের চার মারল। তখনই আমি বুঝে যাই ওকে আটকে লাভ হবে না। আগ্রাসনই ওর আসল বৈশিষ্ট্য। একটা শিক্ষা পেলাম। অধিনায়ককে সতীর্থের মানসিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়।”