২০১২ সালে শেষবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা গিয়েছিল ইরফান পাঠানকে। —ফাইল চিত্র।
এই বছরের গোড়ায় সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ইউসুফ পাঠানের ভাই, এক সময় ভারতের অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান।২০১২ সালে শেষ বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কেরিয়ারের শুরুতে সুইং বোলিংয়ের কারিকুরিতে বিশ্বক্রিকেটে নজর কেড়েছিলেন ইরফান। কিন্তু, তাঁর ক্রিকেটজীবন প্রত্যাশিত চিত্রনাট্য মেনে এগোয়নি। সেই হতাশা, আফশোস রয়েছে স্বয়ং বাঁহাতিরও। এ বার তিনি অভিযোগ করলেন, অধিনায়ক ও জাতীয় নির্বাচকদের পাশে পাননি তিনি। যে মন্তব্যে শুরু হয়েছে বিতর্কও।
তাঁকে নতুন বল না দিয়ে প্রথম পরিবর্ত বোলার হিসেবে ব্যবহারের প্রসঙ্গে ইরফান বলেছেন, “এক জন ওপেনারকে যদি সাত নম্বরে ব্যাট করতে বলা হয় তবে তাঁর পারফরম্যান্সে ফারাক ঘটবেই। উদাহরণ হিসেবে ক্রিস গেল যদি সাতে নামে তবে বড়জোর তিন-চার ম্যাচে ও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাবে। কিছু ম্যাচে ও তাড়াতাড়ি আউটও হয়ে যাবে। আর অন্য ম্যাচে ও পাঁচ-ছয় ওভারের বেশি ব্যাট করার সুযোগও পাবে না। এই পরিস্থিতিতে সেই ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ জোগানো হল অধিনায়কের কাজ। কারণ, তাঁর ভূমিকাই বদলে দেওয়া হল। আমার পাশে কিন্তু কেউ থাকেনি। জীবনের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে আমি সেরা হয়েছিলাম। যাঁরা বলছিলেন যে সুইং পাচ্ছি না, তাঁদের জানা উচিত যে বল করতে আসছিলাম প্রথম পরিবর্ত হিসেবে।”
আরও পড়ুন: ‘কমলা রঙের লম্বা চুলের ধোনি অসহ্য’
আরও পড়ুন: কেন এত ছোট রান আপ? রহস্য ফাঁস করে বুমরা শোনালেন উঠোন তত্ত্ব
ইরফান আরও বলেছেন, “এক বছর ক্রিকেট না খেলেও ঋদ্ধিমান সাহা জাতীয় দলে ফিরেছে। ঋদ্ধির অনুপস্থিতিতে বড় রান করেছিল ঋষভ। কিন্তু তার পরও ডাকা হয়েছিল ঋদ্ধিকে। তাই এটা পরিষ্কার যে কিছু ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়ানো হয়, অন্যদের ক্ষেত্রে তা হয় না। কেউ কেউ সৌভাগ্যবান। অন্যরা আমার মতো দুর্ভাগ্যের দলে।”
অধিনায়কের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও সেই অধিনায়কের নাম অবশ্য বলেননি ইরফান। তবে তিনি নাম না বললেও অনেকেই মনে করছেন, সেই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কেরিয়ারের শেষ যে ম্যাচের কথা জানিয়েছেন ইরফান, সেখানেও ধোনিই ছিলেন অধিনায়ক। ২৯ টেস্ট, ১২০ ওয়ানডে ও ২৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ইরফান। টেস্টে তিনি ১১০৫ রান করেছেন, নিয়েছেন ১০০ উইকেট। একদিনের ক্রিকেটে ১৫৪৪ রান করেছেন, নিয়েছেন ১৭৩ উইকেট। আর কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে নিয়েছেন ২৮ উইকেট, করেছেন ১৭২ রান।