‘নাদালকে সুবিধে দিচ্ছে মন্থর কোর্ট’

অস্ট্রিয়ার ডমিনিক থিয়েমের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত একটা জয় পেল আর্জেন্তিনার দেল পোত্রো। থিয়েমের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ও।

Advertisement

সানিয়া মির্জা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৩
Share:

বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামের শেষ সপ্তাহে চলে এসেছি আমরা। উত্তেজনাটাও ক্রমশ বাড়ছে। সবাই তাকিয়ে আছে কিংবদন্তিদের ওই বিশেষ ম্যাচটার দিকে। মানে সেমিফাইনালে রজার ফেডেরার বনাম রাফায়েল নাদাল। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে নাদালের প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়ার তরুণ প্রতিভা আন্দ্রেই রুবলেভ যতটা না চ্যালেঞ্জ খাড়া করতে পারবে, তার চেয়ে কিন্তু ফেডেরারের ম্যাচটা অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে। কারণ সুইস কিংবদন্তির সামনে এ বার হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোর চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

অস্ট্রিয়ার ডমিনিক থিয়েমের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত একটা জয় পেল আর্জেন্তিনার দেল পোত্রো। থিয়েমের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ও। কিন্তু সেটা সামলে দুর্দান্ত ভাবে ম্যাচটা জিতে গেল দেল পোত্রো। ফেডেরারকেও শুরুর দিকে ওর পিঠের চোটটা ভোগাচ্ছিল। কিন্তু প্রি-কোয়ার্টারে জার্মানির ফিলিপ কোহলশ্রেইবারকে যে ভাবে ৬-৪, ৬-২, ৭-৫ উড়িয়ে দিল ফেডেরার, তাতে মনে হচ্ছে, ও ছন্দে ফিরছে। কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে শারীরিক সমস্যাকে যে সামলে নিতে পারবে, সেই সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে।

এ বছরের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের কোর্টের গতি বেশ স্লো। যা নাদালকে খুব সাহায্য করছে। এর সঙ্গে উঁচু বাউন্সের ফায়দাটাও ও খুব ভাল তুলছে। যেটা দেখা গেল প্রি কোয়ার্টারে আলেক্সান্ডার ডোগোপলভের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। ৬-২, ৬-৪, ৬-১ স্কোরের মধ্যেই বোঝা যাচ্ছে, কতটা আধিপত্য ছিল নাদালের। ড্রয়ের অন্য অর্ধে স্যাম কুয়েরি-কে কিন্তু বেশ ভাল দেখাচ্ছে। জেরেভ-কে ও যে ভাবে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিল, তাতে ওকে টুর্নামেন্টের ডার্ক হর্স বলতেই হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ২০১৮তে ইংল্যান্ডে সিরিজ খেলবে ভারত

গত সপ্তাহে যখন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন শুরু হয়েছিল, কম করে আট জন মেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর হওয়ার লড়াইয়ে ছিল। এখন সংখ্যাটা দুইয়ে নেমে এসেছে। ক্যারোলিনা প্লিসকোভা (এই মুহূর্তে এক নম্বর) এবং গারবিনে মুগুরুজা। মুগুরুজা হেরে গেলেও কয়েকটা ম্যাচের ফল ওর পক্ষে গেলে ও এক নম্বর হয়ে যেতে পারে।

টেনিস কোর্টে যাতায়াত আছে এমন অনেক অভিজ্ঞ দর্শক, এমনকী বিশেষজ্ঞদের পক্ষেও অনেক সময় ম্যাচ শেষ না হলে ম্যাচের ফল নিয়ে আগাম কিছু বলা সম্ভব হয় না। আমাদের ডাবলস ম্যাচের কথাই ধরুন। তৃতীয় রাউন্ডের লড়াইয়ে আমি আর শুয়াই পেং তৃতীয় সেটে ০-৪ পিছিয়ে ছিলাম। আমি নিশ্চিত, ওই সময় অনেক হতাশ ভারতীয় দর্শকই স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হারের মুখ থেকেই আমরা ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement