সিমোনে বাইলস। —ফাইল চিত্র।
অগস্টে ফিরতে চলেছেন সিমোনে বাইলস। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে মানসিক সমস্যার কারণে বেশ কিছু ইভেন্টে না নামা বাইলস আবার ফিরবেন। শিকাগোতে ইউএস ক্লাসিকে নামবেন অলিম্পিক্সে চারটি সোনার পদকজয়ী বাইলস। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে আমেরিকার জিমন্যাস্টিকস সংস্থা।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে একাধিক ইভেন্ট থেকে নাম সরিয়ে নেওয়ার পর এই প্রথম বার কোনও ইভেন্টে নাম দিলেন বাইলস। যদিও আমেরিকার জিমন্যাস্টিকস সংস্থা জানিয়েছে, যে, নাম দেওয়া মানেই সেই প্রতিযোগিতায় নামা নয়। সংস্থার প্রধান স্টেফানি কোরপিন বলেন, “প্রত্যেক অ্যাথলিট মরসুমের এই সময় একেক রকম পরিস্থিতিতে রয়েছে। আমরা তাদের সকলের পাশে আছি। প্রত্যেককেই আমরা সাহায্য করব।”
২০১৬ সালের রিয়ো অলিম্পিক্সে চর্চার কেন্দ্রে ছিলেন বাইলস। সেখানে চারটি সোনা এবং একটি ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন তিনি। টোকিয়ো অলিম্পিক্সেও তাঁকে পদক পাওয়ার ব্যাপারে অন্যতম ক্রীড়াবিদ হিসাবে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু সেখানে তিনি বেশির ভাগ ইভেন্টে নামতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত একটি রুপো এবং একটি ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন তিনি।
বাইলস জানিয়েছিলেন যে তাঁর মানসিক সমস্যা টোকিয়ো এসে শুরু হয়নি। আরও আগে থেকেই এই ধরনের সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। বাইলস বলেছিলেন, “আমি বলব না যে টোকিয়োতে গিয়ে আমার এই সমস্যা দেখা গিয়েছিল। অনেক গভীর এই সমস্যা। মানসিক চাপই প্রধান কারণ। সময়ের সঙ্গে যা বড় আকার নিয়েছে। আমার শরীর, মন কোনও কিছুই রাজি ছিল না ফাইনালে অংশ নেওয়ার জন্য। কিন্তু এটা যে আমার মধ্যে তৈরি হচ্ছিল, সেটা বুঝতে পারিনি।”
ব্যাল্যান্স বিম ইভেন্টের ফাইনালে খেলতে নামেন বাইলস। ব্রোঞ্জ জেতেন সেখানে। বাইলস বলেন, “পাঁচ বছর ধরে নিজেকে তৈরি করার পর খেলতে পারিনি। এর থেকে বড় দুঃখ আর কিছুতে নেই। কিন্তু বুঝতে পেরেছিলাম যে, খেলতে পারব না। তাই ‘না’ বলেছিলাম। আমাকে দেখে অনেকে ‘না’ বলার সাহস পাবে।”
বাইলস ভেবেছিলেন ‘খেলবেন না’ বলার সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণ ধেয়ে আসবে তাঁর দিকে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় অবাক হয়ে যান তিনি। বলেন, “ভেবেছিলাম অনেকে কটূক্তি করবে। কিন্তু তা হয়নি। সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলাম। সেই সময় নিজেকে মানুষ বলে মনে হল। সিমোনে বাইলস নই, আমি সিমোনে, মানুষ সেটাকে শ্রদ্ধা জানাল।”