প্রতিজ্ঞ: পদকের খোঁজে নামবেন বাইলস। —ফাইল চিত্র।
মানসিক অবসাদ দূরে সরিয়ে তিনি আবার নতুন উদ্যমে ফিরে এসেছেন। শুধু ফিরে আসা বললে ভুল হবে। আমেরিকার মহিলা জিমন্যাস্ট ২৭ বছরের সিমোন বাইলস হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখছেন, প্যারিসে তিনি ফের চমক দেবেন।
দেশের এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এখনও পর্যন্ত ২৯টি সোনার (এর মধ্যে অলিম্পিক্সে রয়েছে চারটি সোনা) অধিকারী বাইলস বলেছেন, ‘‘টোকিয়ো অলিম্পিক্সের পরে মানসিক অবসাদ এমন এক স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল, মনে হত আমি যেন এক বন্দি, যার মস্তিষ্ক আর কাজ করে না। প্রিয় জিমন্যাস্টিক্সের সমস্ত কৌশলগুলো ক্রমশ ভুলতে শুরু করি। একটা সময় মনে হয়েছিল যে, আমি হয়তো মারাও যেতে পারি।’’
সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার নেপথ্যে যেমন রয়েছে মনোবিদের নিরলস পরিশ্রম, তার সঙ্গে নিজস্ব অদম্য মানসিক শক্তিতে ভর করে বাইলস ফিরে আসেন জিমন্যাস্টিক্সের মূল স্রোতে। তিনি বলেছেন, ‘‘নতুন ভাবে জিমন্যাস্টিক্স ফ্লোরে পা রাখার পরে নিজেকে মনে হত শিক্ষনবীশের মতো। তবে জাতীয় দলের কোচ এবং সতীর্থরা আমাকে ধীরে ধীরে চাঙ্গা করে তোলে।’’ যোগ করেন, ‘‘২৭ বছর বয়সে অলিম্পিক্সে অংশ নিয়ে পদক জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে একটা সংশয় হয়তো থেকেই যায়। প্রচার থেকে দূরে থেকে মনকে শান্ত রাখছি।’’ বাইলস আরও বলেন, ‘‘জিমন্যাস্টিক্সে এখনও পর্যন্ত যা করেছি, প্যারিসে কিন্তু তার সঙ্গে আরও কিছু থাকবে যা সকলকে অবাক করবে।’’ আরও বলেন, ‘‘প্রস্তুতিতে কয়েকটা বিষয়ের উপরে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছি। আমাকে চোটমুক্ত থাকতেই হবে।’’
বাইলস ছাড়াও আমেরিকা মহিলা জিমন্যাস্ট দলে রয়েছেন সুনি লি, জর্ডান চিলেস এবং জ্যাডে ক্যারি। রয়েছেন আমেরিকা মহিলা জিমন্যাস্টিক্সের নতুন তারা হেজ়লি রিভেরা। বাইলস বলছেন, ‘‘আমেরিকার জিমন্যাস্ট দল বরাবর অলিম্পিক্সে সেরা ফল করেছে। এ বারও ব্যতিক্রম হবে না।’’